মোদী-শাহ মিলে করতে পারেন ৭০ সভা! পাখির চোখ ‘সোনার’ বাংলা

মোদী-শাহ মিলে করতে পারেন ৭০ সভা! পাখির চোখ ‘সোনার’ বাংলা

 

কলকাতা: কমপক্ষে ২০ টি সভা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, এদিকে সভা করতে গিয়ে হাফ সেঞ্চুরি পর্যন্ত করে ফেলতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ! আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে বাংলায় আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই দুই ব্যক্তিত্বের হতে পারে ৭০ সভা। আপাতত এমনই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি শিবিরের বঙ্গ ব্রিগেড। তাদের মূল লক্ষ্য, তৃণমূল কংগ্রেসকে হারিয়ে বাংলাকে ‘সোনার বাংলা’ তৈরি করা। সেই প্রেক্ষিতেই আগামী কয়েকদিন বাংলা হয়ে উঠবে সভাময়, থুরি, গেরুয়া সভাময়। 

আরও পড়ুন-  ‘বাংলায় জয় শ্রীরাম স্লোগান রোখার চেষ্টা চলছে, বিরোধিতা হচ্ছে CAA-র, তোপ যোগীর

আগামী রবিবার অর্থাৎ ৭ জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশে মূল বক্তা হিসেবে বাংলায় আসার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। বিজেপির সভার প্রস্তুতি সেই ব্রিগেডের মঞ্চ থেকেই শুরু হয়ে যাবে। পরবর্তী ক্ষেত্রে অল্প কয়েকদিনের ব্যবধানে বারংবার বাংলায় সভা করতে পারেন নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ। মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে বাংলায় নির্বাচন শুরু, তার আগেই বিভিন্ন জেলায় একাধিক সভা করে বিজেপির সংগঠন আরো মজবুত করার প্রচেষ্টা গেরুয়া শিবিরের। তবে শুধুমাত্র নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ নয়, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও কমপক্ষে ৫০ টি সভা করতে চলেছেন বলে বিজেপির দলীয় সূত্রে খবর। সব হিসাব করলে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সভা হতে চলেছে প্রায় ১২০ টি! মনে হয় এটিও একটি রেকর্ড রাজ্যের রাজনৈতিক ক্ষেত্রে। উল্লেখ্য, এর আগের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় সব মিলিয়ে ২০ টি সভা করেছিলেন মোদী এবং শাহ। এবার সেই সংখ্যা দ্বিগুনের থেকেও বেশি হতে চলেছে! লক্ষ্য একটাই, সোনার বাংলা।

আরও পড়ুন – ‘রক্ত বিক্রি করে আত্মনির্ভর হবে ভারত?’ মোদীকে তীব্র আক্রমণ মিমির

যদিও এই সপ্তাহে উত্তর এবং দক্ষিণ কলকাতায় রোড শো এবং জনসভা করার কথা ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। কিন্তু তা বাতিল হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। এই প্রেক্ষিতে বিরোধীরা কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপিকে। দাবি করা হচ্ছে, লোক টানতে পারছে না ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির, তাই একের পর এক সভা এবং রোড শো বাতিল হচ্ছে। যদিও এই বিষয়টিকে পাত্তা দিতে রাজি নয় গেরুয়া বাহিনী। তারা আপাতত আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এতগুলি জনসভা সংগঠিত করার চেষ্টায় নেমে পড়েছেন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *