কলকাতা: গতকাল নন্দীগ্রামে মনোনয়ন পেশ করার পর গুরুতর আহত হয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিজে অভিযোগ করেছেন যে ষড়যন্ত্র করে তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করেছে, একেবারে পরিকল্পনামাফিক এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই তাদের আঙ্গুল ভারতীয় জনতা পার্টি শিবিরের দিকে। এই প্রেক্ষিতে আজ সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায় মন্তব্য করেন, দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এখনো পর্যন্ত কোন খোঁজ নেননি তাঁর! এতে দল আশ্চর্য হয়ে গিয়েছে, দাবি সৌগতের।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেন। কার্যত বিস্ফোরক অভিযোগ করে সৌগত রায় বলেন, এর আগে একাধিকবার বিজেপি নেতাদের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল, ১০ তারিখের পর কি হয় সেটা দেখা যাবে। ঘটনাচক্রে সেই দিনই অর্থাৎ গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রামে মনোনয়ন জমা দিয়ে বেরিয়ে আহত হয়েছেন! এতেই ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারা এও দাবি করেছে, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বিজেপির একাধিক সাংগঠনিক পেজ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে ছবি শেয়ার করা হয়েছিল, সেখানে দেখা গিয়েছিল তিনি মুখ থুবড়ে রাস্তায় পড়ে যাচ্ছেন। অবাক করার মত বিষয়, গতকালের ঘটনার সঙ্গে এর মিল রয়েছে! যদিও বিজেপির তরফ থেকে গতকালের ঘটনা প্রসঙ্গে দাবি করা হচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পূর্ণ নাটক করছেন এবং সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি ইতিমধ্যেই বুঝে গিয়েছেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তিনি জিততে পারবেন না, তাই এইসব করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।
আরও পড়ুন- গত ৭ বছরে দ্বিগুণ হয়েছে রান্নার গ্যাসের দাম, উঠেছে ভর্তুকিও! স্বীকার করলেন খোদ মন্ত্রী
এদিকে আজ একই সাংবাদিক বৈঠক থেকে তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, গতকাল নন্দীগ্রামে যে ঘটনা ঘটে গিয়েছে সেই নিয়ে আগামীকাল দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে যাবে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। একই সঙ্গে, আগামীকাল বিকেল ৩ টে থেকে ৫ টা পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে হবে ঘাসফুল শিবিরের মৌন মিছিল। একই সঙ্গে এই মিছিল থেকে দেখানো হবে কালো পতাকা। তিনি আরো বলেন, মূলত নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এই মিছিল সংঘটিত হবে। এছাড়াও দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ করবে তৃণমূল কংগ্রেস।