কলকাতা: বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পর্নগ্রাফি কাণ্ডের অভিযোগে মূল মডেল সাপ্লায়ার্সকে গ্রেফতার করল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। কলকাতা থেকে প্রকাশ দাসকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে গত মার্চ মাসে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এই ঘটনায়। এই ঘটনায় মোট গ্রেফতারের সংখ্যা হল ছয়।
পুলিশ সূত্রের খবর: ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে উঠতি মডেল এক যুবতী বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানায় যে, এক ব্যক্তির সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হয় তাঁর। তিনি রানিকুঠি এলাকায় তার প্রোডাকশন হাউস রয়েছে পরিচয় দিয়ে তাকে টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে সুযোগ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। সেই অনুযায়ী উঠতি মডেল যুবতী ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি তাকে প্রথম দিকে দুটি ছোট কাজ দেয়। এরপর তাকে বেশ কয়েকজনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয় এবং পরবর্তীতে তাকে বিধাননগর কমিশনারেট এলাকার একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে মাদক খাইয়ে জোর করে পর্ণগ্রাফি সুট করায় বলে অভিযোগ।
ওই যুবতীর অভিযোগ, ওই চক্র তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পর্ণগ্রাফি করতে বাধ্য করেছিল। এরপরেই বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানায় ওই যুবতী। ঘটনার তদন্ত শুরু করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ৷ গত মার্চ মাসে ৫ জনকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করে। তবে এই ঘটনার মূল মডেল সাপ্লায়ার্স পুলিশের নজর এড়িয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। অবশেষে ১০ মাস পর গতকাল কলকাতার রিজেন্ট পার্ক এলাকা থেকে অভিযুক্ত প্রকাশ দাসকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত প্রকাশ দাস সোশ্যাল মিডিয়া মারফত বিভিন্ন উঠতি মডেলদের সঙ্গে যোগাযোগ করত। তারপর তাদের টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে সুযোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কনফিডেন্স আদায় করত। পরবর্তীতে সেই মডেলদের এই পর্ণগ্রাফি চক্রের হাতে তুলে দিয়ে অর্থ উপার্জন করত। এই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ওই যুবতী বাদেও আরও বেশ কয়েকজন যুবতী একই অভিযোগ করেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
অভিযুক্তের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। সেখান থেকে অনেক উঠতি মডেলের সঙ্গে কথোপকথনের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। আজ অভিযুক্তকে বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হবে। পুলিশ তাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে। এই মডেল সাপ্লায়ার্সের সঙ্গে আর কাদের যোগাযোগ রয়েছে বা এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা তদন্ত করে দেখছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।