কলকাতা: চা বেচছেন মদন মিত্র৷ এক কাপ চায়ের দাম ১৫ লক্ষ টাকা! যা শুনে অনেকেরই চক্ষু চড়কগাছ৷ কিন্তু এক কাপ চায়ের দাম কেন ১৫ লক্ষ টাকা হাঁকলেন মদনবাবু?
আরও পড়ুন- হাওড়ায় জলমগ্ন ৪০টি গ্রাম, ডিভিসির জলে নতুন করে প্লাবিত হতে পারে শতাধিক গ্রাম
রবিবার ভবানীপুর এলাকায় অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে চা বিক্রি করেন কামারহাটির বিধায়ক৷ কালো পাঞ্জাবীর সঙ্গে কালো টুপি পড়ে চা বিক্রেতার আসন দখল করেছিলেন তিনি৷ আসলে যে ভাবে প্রতিনিয়ত পেট্রোপণ্যের মূল্য বেড়ে চলেছে তাতে হাঁফ ধরেছে আমআদমির৷ এই মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদেই আজ অভিনব বিক্ষোভ দেখান মদন৷ চা-ওয়ালা সেজে খোঁচা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে৷ তোপ দেগে বলেন, ‘‘এমন চা মার্কিন প্রেসিডেন্টও খাওয়াতে পারেননি৷ যা মোদীজি আমাদের খাওয়াচ্ছেন৷’’
মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে রবিবার সকাল সকাল অনুগামীদের নিয়ে পথে নেমেছিলেন কামারহাটির বিধায়ক৷ অনুগামীদের মুখে ছিল মোদীর ছবি আঁকা মুখোশ৷ আর মদন বাবু নিজের হাতে বিক্রি করেন চা৷ যাঁর দাম ‘১৫ লক্ষ টাকা’৷ কিন্তু হঠাৎ এত দাম কেন? আসল ১৫ লক্ষ টাকা দাম হেঁকেই মোদীকে তুলোধোনা করলেন মদন৷ ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিদেশ থেকে কালো টাকা ফিরিয়ে আনবেন৷ প্রত্যেক ভারতবাসীর ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেওয়া হবে ১৫ লক্ষ টাকা৷ যে প্রতিশ্রুতি আজও পালন করতে পারেননি তিনি৷ সেই কারণেই এই দাম৷ সেই সঙ্গে এদিন হাতিয়ার করা হয়েছিল মোদীর চা বিক্রেতার ভাবমূর্তিকেও৷
আরও পড়ুন- যাত্রীদের পাশেই দাঁড়াল সরকার, বেশি ভাড়া নিলে বাতিল হবে বাসের পারমিট
এদিন তৃণমূলের মিশন ত্রিপুরা নিয়েও মন্তব্য করেন মদন মিত্র৷ তিনি বলেন, ত্রিপুরায় খেলা দিবস নয়, বিজয় দিবস পালন করা হবে৷ সেই সঙ্গে বাবুল সুপ্রিয়কে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য পরোক্ষ আবেদনও জানান তিনি৷ বলেন, ‘এত তাড়াতাড়ি রাজনীতিকে বিদায় কেন? এত সুন্দর আকাশ আছে৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতত্ব আছে৷ এক মাঠে খেলবেন না, অন্য মাঠে খেলবেন৷ আমিও অনেকদিন প্র্যাকটিসে ছিলাম না৷ তাতে কী হয়েছে?’