Aajbikel

প্রচুর তথ্য মুছে দেন জীবনকৃষ্ণ, উদ্ধার ১০০ শতাংশই! তথ্য ভাণ্ডার খতিয়ে তলব শুরু সিবিআই-এর

 | 
জীবনকৃষ্ণ

 কলকাতা: শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ধৃত বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার দুটি মোবাইল ফোন যেন তথ্য ভাণ্ডার৷ ওই দুটি ফোন থেকে ১০০% তথ্য উদ্ধারের পর এমনটাই দাবি জানাল সিবিআই। জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে সিবিআই-এর তাল্লাশি অভিযান শুরু হওয়ার পরই জিজ্ঞসাবাদের মাঝে বাড়ি লাগোয়া পুকুরে নিজের দুটি মোবাইল ফোন ছুড়ে ফেলেছিলেন বিধায়ক৷ এর পর পুকুরের জল ছেঁচে কাদা ঘেঁটে একটি মোবাইল উদ্ধার করে আনা হয়৷ পরে অপর একটি ফোন উদ্ধার হয় পুকুরপাড়ে একটি গাছের তলা থেকে৷ সেই দুটি ফোন সঙ্গে করে নিয়ে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। ফরেনসিক পরীক্ষায় জোড়া মোবাইল থেকে ডিলিট করে দেওয়া তথ্যের পুরোটাই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানাল সিবিআই৷ 


সেই সূত্র ধরেই এবার ওএমআর শিট মূল্যায়নকারী সংস্থা নাইসার দুই আধিকারিককে তলব করল  সিবিআই। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি পাইয়ে দিতে যে ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়েছিল, তার প্রমাণ মিলেছে। সেই সূত্রেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে নাইসার ওই দুই আধিকারিককে৷ এই ঘটনায় আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন নাইসার ভাইস প্রেসিডেন্ট নীলাদ্রি দাস। এবার ডাক পড়ল আরও দুই আধিকারিকের৷ 

সিবিআই সূত্রে দাবি, জীবনের দুটি মোবাইল থেকে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ও কয়েকশো অডিয়ো ক্লিপ উদ্ধার হয়েছে৷ যেখানে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে কথোপকথন রয়েছে। সেই তথ্য থেকেই মিলেছে বেশ কিছু নাম। এবার তাঁদের একে একে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। তবে শুধু নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত তথ্যই নয়, পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া জীবনকৃষ্ণ সাহার ২টি ফোনে আরও বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে বেনিয়মের হদিশ মিলেছে বলেও দাবি ইডি-র। 

পুকুর থেকে জীবনকৃষ্ণের মোবাইল ফোন দুটি উদ্ধারের পরেই হায়দরবাদের কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল। দীর্ঘক্ষণ পুকুরের জলে ডুবে থাকা মোবাইল ফোন থেকে আদৌ কোনও তথ্য মিলবে কিনা সে সম্পর্কে সন্দিহান ছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। তবে সেই আশঙ্কা সত্যি হয়নি। বিধায়কের ফোন থেকে ১০০% তথ্যই উদ্ধার করে গিয়েছে বলে দাবি। যা থেকে নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে তৃণমূল বিধায়কের স্পষ্ট যোগ খুঁজে পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এমনকী, ওএমআর শিট বিকৃত করার ঘটনাতেও তাঁর যোগ রয়েছে বলে জানতে পেরেছে সিবিআই৷ 


উল্লেখ্য, টেটে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কুন্তল ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে স্থানীয় এক এজেন্টের নাম উঠে আসে। সেই এজেন্টের সূত্র ধরেই নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ায় বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার।

Around The Web

Trending News

You May like