নেই মাস্ক, লাটে দূরত্ববিধি! কৃষক সাজে ‘বিদ্রোহী’ বিধায়ক!

নেই মাস্ক, লাটে দূরত্ববিধি! কৃষক সাজে ‘বিদ্রোহী’ বিধায়ক!

নিজস্ব প্রতিনিধি, ক্যানিং: কৃষি বিলের বিরোধিতায় মিছিল। পুরোভাগে ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল। কৃষকের বেশে কাঁধে লাঙ্গল, গলায় শাক সবজি, মাথায় সবজির ঝুড়ি নিয়ে কেন্দ্রীয় কৃষি বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালেন বিধায়ক৷ তাঁর সঙ্গে সঙ্গত করলেন ক্যানিং-১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি শৈবাল লাহিড়ী, জয়নগর কেন্দ্রের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, গোসাবা কেন্দ্রের বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর, জেলা তৃণমূলের এসসি এসটি ওবিসি সেলের সভাপতি বাপন নস্কর প্রমুখ৷ তবে এই প্রতিবাদকে গিমিক বলছেন বিরোধীরা৷
 

কিন্তু এই প্রতিবাদ আসলে কতটা কাজের? কেন্দ্রের তরফে কৃষি বিল পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি সাজানো হচ্ছে, একইসঙ্গে পাল্টা যুক্তি দিচ্ছেন বিরোধীরা৷ কিন্তু কতটা লাভ পাচ্ছেন এতে কৃষকরা? প্রশ্ন উঠছে সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে৷  কৃষি বিল বিরোধিতার পাশাপাশি এদিন মিছিল থেকে উত্তরপ্রদেশের হাথরসে দলিত কন্যার ধর্ষণ ও পুলিশ দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিকে দিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানানো হয়৷ এদিন মিছিল শেষে হয় ক্যানিং বাসস্ট্যান্ডে৷ সেখানে তৃণমূলের প্রতিবাদ সভার আয়োজন হয়৷

তবে এহেন বিরোধিতায় আসল কাজ কতটা হবে সে নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রবল সন্দেহ রয়েছে৷ কারণ যেখানে কৃষি বিলে কৃষকের পক্ষে কথা বলা হচ্ছে বলে দাবি উঠছে, সেখানে তৃণমূলের এই বিরোধিতার আদৌ কোনও সারবত্তা আছে কিনা তাও প্রশ্নাতীত নয়৷ দিনের পর দিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপির অভিযোগ, তারা প্রতিবাদের জন্য প্রতিবাদ করে, আসল কাজের কাজ তাতে কিছুই হয় না৷ বিজেপির প্রতিবাদ করতে গিয়ে জনস্বার্থ সম্পর্কিত বহু বিষয়ের বিরোধিতায় এর আগেও নিজেদের জড়িয়েছ তৃণমূল৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত লাভ কিছুই হয়নি বলে মনে করছে রাজনীতির কারবারীরা৷

কৃষকের বেশে মিছিল করে আবেগে সুড়সুড়ি দিয়ে ভোট আদায়ের চেষ্টা ছাড়া এই প্রতিবাদ আর কিছু বলতেও রাজি নন বিরোধী শিবির৷ তৃণমূলের পক্ষ দাবি করা হয়েছে, এদিনের পদযাত্রা এবং প্রতিবাদ সভায় ৩৫ হাজার তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা সামিল হন৷ যদিও করোনাকালে এই বিপুল পরিমাণ জমায়েত আদৌও অনুমোদিত? প্রতিবাদ মঞ্চে দূরত্ববিধি পালন ঘিরেও উঠছে প্রশ্ন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *