কলকাতা: বৃহস্পতিবার বনগাঁর ঠাকুরনগরে আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷ আর তাতেই কিনা আমন্ত্রণ পাননি বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস! যা ঘিরে জোর জল্পনা রাজনৈতিক মহলে৷ সোমবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে দেখা গিয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার দুই বিজেপি বিধায়ক সুনীল সিং ও বিশ্বজিৎ দাসকে ৷ যা ঘিরে দিনভর জলঘোলা হয় রাজনীতির অন্দরে৷ প্রশ্ন ওঠে তাহলে কী তৃণমূলে ফিরছেন এই দুজন? যদিও এমন কোনও ইঙ্গিতই বিধায়কেরা দেননি৷
শাহের সভায় আমন্ত্রণের প্রসঙ্গে বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, সভায় তাঁকে কেউ আমন্ত্রণ জানাননি। এদিকে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মোনস্পতি দেবের বক্তব্য, এটি মতুয়াদের সভা, তাই সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষজনকেই শুধু আমন্ত্রণ করা হয়েছে। যদি তাই হয় তাহলে প্রশ্ন উঠছে, গত ৩০ জানুয়ারি স্থগিত হওয়া শাহের সভায় তো আমন্ত্রিত ছিলেন বিশ্বজিৎ। তাহলে এখন নয় কেন? যদি তার কোনও সঠিক উত্তর দেওয়া হয়নি গেরুয়া শিবিরের তরফ থেকে৷
সোমবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া দুই বিধায়ক, সুনীল সিং ও বিশ্বজিৎ দাস। তারপর থেকে জল্পনা শুরু হয়ে যায় এবার কী ঘরওয়াপসি হতে চলেছে? তা হলে মুখ পুড়বে বিজেপির৷ অন্যদিকে সূত্রের খবর, বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গেও নাকি সম্পর্ক মধুর নয় বিশ্বজিৎ দাসের৷ তাই এবার বিজেপি থেকে টিকিট নাও পেতে পারেন তিনি৷ এই প্রেক্ষিতে তৃণমূলত্যাগী বিজেপি বিধায়ক ও মমতার সাক্ষাৎ যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ বিজেপিও কী তা মনে করছে? সেজন্যই কী আমন্ত্রণ জানানো হল না বনগাঁ উত্তরের বিধায়ককে? কৌতুহল তুঙ্গে৷