করোনায় কাড়ল প্রাণ, চলে গেলেন প্রাক্তন বিধায়ক অজয় দে

করোনায় কাড়ল প্রাণ, চলে গেলেন প্রাক্তন বিধায়ক অজয় দে

কলকাতা: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এবং তার সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু, কিছুতেই যেন এই পরিস্থিতি বদলানো যাচ্ছে না। আর এই আবহেই একে একে চলে যাচ্ছে একের পর এক প্রাণ। এবার করোনাভাইরাসের কাছে পরাস্ত হলেন বাংলার রাজ্য রাজনীতির অন্যতম জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব নদীয়ার শান্তিপুরের প্রাক্তন বিধায়ক অজয় দে। বেশ কিছুদিন ধরেই করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। এদিন তাঁর জীবনাবসান ঘটে।

জানা গিয়েছে, করোনাভাইরাস উপসর্গ দেখা যাওয়ার পর তিনি শান্তিপুর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পরবর্তী ক্ষেত্রে তাঁর রিপোর্ট পজেটিভ আসে। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে হোম আইসোলেশনে থাকলেও শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় প্রাক্তন বিধায়কের। তখন আর সেখানে না থেকে কলকাতায় চলে আসেন তিনি, ভর্তি হন শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে। বেশ কয়েকদিন ধরে চিকিৎসা চলার পর তাঁকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। অবশেষে আজ সকালে মৃত্যু হয় নদীয়ার শান্তিপুরের প্রাক্তন বিধায়কের। কংগ্রেসের টিকিটে জিতে শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে দীর্ঘদিন বিধায়ক ছিলেন অজয় দে। পরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। 

এদিকে আজ করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন পরিবেশবিদ তথা চিপকো আন্দোলনের নেতা সুন্দরলাল বহুগুনা। মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। করোনা আক্রান্ত হয়ে হৃষিকেশের এইমসে ভর্তি ছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর নিউমোনিয়া হয় তাঁর। ১৯৭০ সালে একের পর এক গাছ কাটার জন্য উত্তরাখণ্ডের চামোলি গ্রামে বহু মানুষের জীবনযাত্রায় সমস্যা হচ্ছিল। সেই সময়ে আরো বিতর্ক সৃষ্টি হয় যখন সরকার প্রায় আড়াই হাজার গাছের নিলাম ঘোষণা করে। সেই সময়টা ছিল ১৯৭৪ সাল। তখন যখন গাছ কাটার জন্য আধিকারিকরা আসতে থাকে তখন ওই গ্রামের মহিলারা তাদের আটকানোর জন্য গাছেদের জড়িয়ে ধরতে শুরু করে। এই আন্দোলনের মুখ সুন্দরলাল বহুগুণার নেতৃত্বে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কাছে আবেদন যায়। পরবর্তী ক্ষেত্রে প্রায় ১৫ বছর গাছ কাটা নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty + six =