‘‘জলডোরাও নই, বেলেবোরাও নই, আমি জাত গোখরো’’, ব্রিগেডে হুঙ্কার মহাগুরুর

‘‘জলডোরাও নই, বেলেবোরাও নই, আমি জাত গোখরো’’, ব্রিগেডে হুঙ্কার মহাগুরুর

কলকাতা: জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিজেপি’র মঞ্চে গেরুয়া হলেন একদা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তী৷ মঞ্চে উঠেই একেবারে ফিল্মি কায়দায় নিজেকে মেলে ধরলেন অভিনেতা৷ অ্যাকশন হিরোর মেজাজেই বললেন, ‘‘মারব এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে৷’’ সেই সঙ্গে একুশের ভোটে তাঁর ডায়লগ লিখে দিলেন মঞ্চ থেকেই৷ বললেন, ‘‘আমি জলডোরাও নই, বেলেবোরাও নই, আমি জাত গোখরো, এক ছোবলে ছবি৷’’

আরও পড়ুন-  ‘এক ছোবলে ছবি, কেউ পালাতে পারবে না’! প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি ‘মহাগুরু’র

এদিন মিঠিন বলেন, পু‘‘রনো ডায়লগটা তো চলবেই৷ সেই সঙ্গে একটা নতুন ডায়লগ দিচ্ছি৷ আমার হয়ে প্রচার করার আগে সেটা মনে রাখবেন৷ মঞ্চে উপস্থিত সব নেতাদের ভাষণকে একত্রিত করে একটাই ডায়লগ বলব, আর সেটাই হল আমি৷ আমার নাম মিঠুন চক্রবর্তী৷ আমি যা বলি, তা করে দেখাই৷ মনে রাখবেন, আমি জলডোরাও নই, বেলেবোরাও নই, আমি জাত গোখরো, এক ছোবলে ছবি৷’’ তাঁর হুঙ্কার এবার এটাই হবে৷ 

আরও পড়ুন- পিসি-ভাইপোর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অর্জুন, লকেটের নিশানায় বউ মা

মিঠুন আরও বলেন, ‘‘দাদার প্রতি ভরসা রাখবেন৷ আমার কথায় বিশ্বাস রাখবেন৷ দাদা কখনও মুখ ফিরিয়ে পালিয়ে যায়নি৷ আমি সব সময় আপনাদের সঙ্গে থাকব৷ এদিন মঞ্চে উঠেই তিনি বলেন, আজকের দিনটা আমার কাছে স্বপ্নের মতো৷  এইজন্য বলছি স্বপ্ন, আমি আসছি এমন একটা জায়গা থেকে, জোড়াবাগান এর দিক থেকে যার দুদিকটাই অন্ধকার, ব্লাইন্ড লেন। থানার পিছনে না দেখলে জায়গা খুঁজে পাওয়া যেত না। ঠিকানায় ব্র্যাকেটে লিখতে হত জোড়াবাগান থানার পিছনে। সেখান থেকে আজ ভারতবর্ষের তাবড় নেতাদের সঙ্গে একই মঞ্চে দাঁড়াবো ভাবিনি। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের বৃহত্তম নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ এখানে আসছেন। স্বপ্ন দেখেছিলাম কিছু একটা করব। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক মঞ্চে থাকাও স্বপ্নের”।    
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − five =