কলকাতা: আজ ব্রিগেডের মঞ্চে বিজেপি শিবিরে নাম লিখিয়েছেন এককালীন তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যসভার সাংসদ তথা দেশের অন্যতম স্বনামধন্য অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। গলার উত্তরীয় পরিয়ে তাঁকে আজ স্বাগত জানান বাংলার বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাই গেরুয়া শিবিরের হয়ে নিজের জীবনের প্রথম ব্রিগেড মঞ্চে দাঁড়িয়ে মিঠুন চক্রবর্তী প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারির সুরে বললেন, ‘আমি জলঢোড়াও নই, বেলেবোরাও নই। জাত গোখরো। এক ছোবলে ছবি’। নেহাতই এটা তাঁর ছবির বিখ্যাত সংলাপ। কিন্তু আজ বিজেপি শিবিরে নাম লিখিয়ে যখন তিনি এই সংলাপ দিচ্ছেন, তাই অবশ্যভাবে এটিকে প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি হিসেবে ধরাই যায়। তবে কাদের উদ্দেশ্যে এই বার্তা মহাগুরুর, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এদিন তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়ে বলেন, ‘ভুলে যাবেন না দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনের ১৫০ তম বছর এটা। ভুলে যাবেন না রানি রাসমণিকে, এঁরাই আসল বাঙালি। বাংলার সব কিছুতে অধিকার আপনাদের। কেউ তা ছিনিয়ে নিতে এলে, আমাদের মতো কিছু লোক দাঁড়িয়ে যাবে। মারব এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে শুনেছেন আগেই। এ বার নতুন কথা শুনুন, আমার নাম মিঠুন চক্রবর্তী। আমি যা বলি, তা করে দেখাই। আমি জলঢোড়াও নয়, বেলোবোড়াও নই। আমি জাত গোখরো। এক ছোবলে ছবি।’
আরও পড়ুন- পর্দার ‘মহাগুরু’ও ছিলেন চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে! ‘ফুল’ বদলে ফের রাজনীতিতে
কিছুটা আবেগ প্রবণ হয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আজকের দিনটা আমার কাছে স্বপ্নের মতো। এইজন্য বলছি স্বপ্ন, আমি আসছি এমন একটা জায়গা থেকে, জোড়াবাগান এর দিক থেকে যার দুদিকটাই অন্ধকার, ব্লাইন্ড লেন। থানার পিছনে না দেখলে জায়গা খুঁজে পাওয়া যেত না। ঠিকানায় ব্র্যাকেটে লিখতে হত জোড়াবাগান থানার পিছনে। সেখান থেকে আজ ভারতবর্ষের তাবড় নেতাদের সঙ্গে একই মঞ্চে দাঁড়াবো ভাবিনি। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের বৃহত্তম নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ এখানে আসছেন। স্বপ্ন দেখেছিলাম কিছু একটা করব। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক মঞ্চে থাকাও স্বপ্নের।’