আসানসোল: দীর্ঘ ১০ দিন নিখোঁজ থাকার পর উদ্ধার হলো নিখোঁজ শিশুর মৃতদেহ ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরল পশ্চিম বর্ধমানের রানীগঞ্জ থানার মঙ্গলপুর এলাকায়। কয়েকদিন আগেই এই ঘটনায় এক ভবঘুরে যুবককে আটক করেছিল পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছিল নিখোঁজ শিশুর বিষয়ে। পুলিশ কুকুর দিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত একটি নালা থেকে শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার হয় সোমবার দুপুরে। জানা গিয়েছে, এলাকার এক যুবক ছাগল চরাতে গিয়ে নালার শিশুর মৃতদেহ দেখে স্থানীয়দের খবর দেয়। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
৩০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ প্রতিবেশী ভবঘুরে যুবক ফাগু ভুঁইয়া ২ বছরের শিশু সঞ্জয় তাঁতিকে কোলে নিয়ে সর বনের দিকে নিয়ে যায়। কিছু সময় পর ফাগু ফিরে এলেও শিশুটিকে নিয়ে আসেনি। এর পরেই শিশুর মা, বাবা ও প্রতিবেশীরা তার কাছে শিশুর সম্পর্কে জানতে চায়। কিন্তু ওই যুবক শিশু সম্পর্কে কিছু জানাতে অস্বীকার করে। যুবককে আটক করে আমড়াশোতা ফাঁড়িতে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গ্রামবাসীরা পুলিশের কাছে শিশুটিকে খুঁজে দেওয়ার আর্জি জানান।
আমড়াশোতা ফাঁড়ির পুলিশ শিশুর খোঁজে তদন্তকারী কুকুর ও ড্রোনের সাহায্য নেওয়ার পাশাপাশি যুবককে জিঞ্জাসাবাদ শুরু করে। কিন্তু যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। তার কথা বার্তায় সঙ্গতি না পাওয়ার জন্য শিশুর খোঁজে অসুবিধা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সর বনে থেকে শিশুটির প্যান্ট, যুবকের জামা ও মোবাইল উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার পরেই পুলিশ খোঁজাখুঁজি করেও শিশুটির কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। সোমবার দুপুর নাগাদ এলাকার এক যুবক ছাগল চরাতে গিয়ে এই দেহটি পড়ে থাকতে দেখতে পায়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়। শিশু নিখোঁজ ও পরে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধারের এই রহস্যজনক ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রানীগঞ্জ থানার পুলিশ ।