ঝড়ে বিধ্বস্ত বাংলা, বিলেত থেকে ত্রাণ সংগ্রহ বঙ্গতনয়া ‘মিস ইংলন্ড’ ভাষার

ঝড়ে বিধ্বস্ত বাংলা, বিলেত থেকে ত্রাণ সংগ্রহ বঙ্গতনয়া ‘মিস ইংলন্ড’ ভাষার

কলকাতা: মাস দুয়েক আগে কোভিড-১৯ রোগীদের সেবায় ‘মিস ইংল্যান্ড’-এর মুকুট সরিয়ে হাতে টেথোস্কোপ তুলে নিয়েছিলেন বঙ্গ তনয়া ভাষা মুখোপাধ্যায়৷ কঠিন সময়ে নিজের ডাক্তারি পেশায় ফিরে গিয়েছিলেন তিনি৷ এবার উম্পুন বিধ্বস্ত বাংলার মানুষের পাশে দাঁড়ালেন ভাষা৷ গড়ে তুললেন ত্রাণ তহবিল৷ 

বর্তমানে কোভিড-১৯ হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ভাষা৷ কিন্তু অবসরে বসে তাঁর একটাই পরিকল্পনা, কী ভাবে বাংলার পাশে দাঁড়ানো যায়৷   ২৩ বছরের এই সুন্দরী কম বয়সেই অনেক সাফল্য দেখেছেন৷ ডাক্তারির দুটি ডিগ্রি রয়েছে তাঁর ঝুলিতে৷ অন্যদিকে তিনি আবার ‘মিস ইংলন্ড’৷ ২০১৯ সালে এই খেতার পান তিনি৷ ভাষা পাঁচটি ভাষায় দক্ষ৷ ভালোবাসেন আলু কাবলি, ঝালমুড়ি আর ফুচকা৷ 
ভাষা ইংল্যান্ডের বাসিন্দা হলেও বাংলার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তিনি খুবই উদ্বিগ্ন৷ সুপার সাইক্লোন উম্পুনে তছনছ হয়েছে বাংলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল৷ এক সপ্তাহের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও, এখনও উম্পুনের প্রভাব থেকে বেরতে পারেনি বাংলা৷ ভাষা বলেন, ‘‘বাংলার ছবি আমাকে ভাবাচ্ছে৷ দু’মাস আগেই আমি বাংলায় গিয়েছিলাম৷ এখন সেখানে কত মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন৷ কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷’’ সকলের কাছে তাঁর আর্জি, যে যাঁর সমর্থ মতন সাযায্য করুন৷ 

ফেসবুকে উম্পুন বিধ্বস্ত বাংলার একটি ভিডিয়ো শেয়ারও করেছেন ভাষা। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, কলকাতা মানেই তাঁর পরিবার। উম্পুনের জেরে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।  উম্পুন বিধ্বস্ত বাংলার মানুষের জন্য কাজ করছে 'The Hope Foundation'। এই সংস্থারই ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসাবে দুস্থ মানুষের জন্য একটি ত্রাণ তহবিল গড়ে তুলেছে ভাষা৷ সেখানে তিনি নিজেও যেমন অনুদান দিয়েছেন, অন্যদেরও অনুদান দেওয়ার জন্য আহ্বান করেছেন।  

মার্চের গোড়ার দিকেই কভেন্ট্রি মার্সিয়া লায়েন্স ক্লাবের আমন্ত্রণে চার সপ্তাহের জন্য ভারতে এসেছিলেন বঙ্গ তনয়া ভাষা মুখোপাধ্যায়৷ বেশ কিছু স্কুলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সচেতনতা প্রচার চালান তিনি৷ ভারতে থাকাকালীনই তাঁর প্রাক্তন সহকর্মীদের কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন ব্রিটেনে করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে৷ এরপরই ইংলন্ডে ফিরে যান ভাষা৷ বোস্টনের পিলগ্রিম হাসপাতালে কাজে যোগ দেন তিনি৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *