কুলতলি: বিজেপিতে যোগদানের পর তিনি যেখানেই সভা করেছেন তোপ দেগেছেন ‘তোলাবাজ ভাইপো’ বলে৷ আগেও তার পাল্টা দিয়েছিলেন যুব তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তবে আজ হাতে সুদীপ্ত সেনের চিঠি নিয়ে নিশানা করলেন শুভেন্দুকে৷ বললেন, দশ বছর খেয়ে মধু মীরজাফর এখন সাজছে সাধু৷ তিনি বলেন, “তোমাকে টিভিতে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। আর তুমি আমাকে তোলাবাজ বলছো? সুদীপ্ত সেন বলেছিলেন তিনি শুভেন্দুকে টাকা দিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারীকে ৬ কোটি টাকা দিয়েছিলেন।’’
অভিষেক আরও বলেন, “সুদীপ্ত সেনকে ব্ল্যাকমেল করতেন শুভেন্দু অধিকারী। আমি প্রমাণ দিয়েছি, আমার বিরুদ্ধে প্রমাণ দিতে পারবে? প্রমাণ দিতে পারলে ফাঁসির মঞ্চে মৃত্যুবরণ করব। টিভির পর্দায় টাকা নিয়েছ আর ভাইপো তোলাবাজ?” এদিন শুভেন্দুকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, ‘‘শিরদাঁড়া বিক্রি করে এখন সাধু সাজা হচ্ছে৷’’ একইসঙ্গে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বদলা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন ডায়মণ্ডহারবারের তৃণমূল সাংসদ৷
এদিন অভিষেক বলেন, “দিলীপ ঘোষরা বলছেন স্বাস্থ্যসাথী আসলে ভাঁওতা। আবার ওনার পরিবারের লোকেই গিয়ে কার্ড নিচ্ছে। উন্নয়ন ও পরিসংখ্যানের নিরিখে লড়াই হোক। ১০-০ গোলে হারাতে না পারলে রাজনীতিতে পা রাখব না। এরা উন্নয়ন নিয়ে কথা বলতে পারে না। যত আক্রমণ করা হচ্ছে আমাকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগে আমার সঙ্গে লড়ুন। ভাইপো না বলে আমার নাম উচ্চারণ করে দেখান। কড়ায় গণ্ডায় সব বুঝিয়ে দেব। ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বদলা নেবো। তৈরি থাকো।”
এদিন নাম না করে শুভেন্দুকে তীব্র নিশানা করেন অভিষেক৷ তাঁর প্রতি বক্তব্যে হাততালির ঝড় ওঠে৷ সরাসরি শুভেন্দু অধিকারীকে ‘ঘুষখোর’ বলে উল্লেখ করেন। সব মিলিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ যে ক্রমশ চড়ছে তা জানান দিচ্ছে কুলতলির জনসভা।