রক্ত লেখা স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন মমতার কাছে! হাল ছাড়ছেন মাদ্রাসা শিক্ষক-শিক্ষিকারা

রক্ত লেখা স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন মমতার কাছে! হাল ছাড়ছেন মাদ্রাসা শিক্ষক-শিক্ষিকারা

40352bf10ff362125a20bfd31a45fbaa

কলকাতা: রক্ত দিয়ে আবেদন পত্র লিখে এবার প্রতিবাদ দেখাল ওয়েস্টবেঙ্গল রেকগনাইজ আন-এডেড মাদ্রাসা টিচার অ্যাসোসিয়েশনের শিক্ষক-শিক্ষিকারা৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রক্ত দিয়ে চিঠি লিখে স্বেচ্ছা মৃত্যুর আবেদন জানিয়েছে তাঁরা! ঘটনায় ইতিমধ্যেই শোরগোল। আন্দোলনকারীদের দাবি, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে সরকার সমস্ত সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছেন। এই দীর্ঘ ১০ বছরে তারা প্রায় মৃত্যুর মুখোমুখি এসে পড়েছেন। সেই কারণেই এবার ‘নিষ্কৃতি’ চান তাঁরা। 

তাদের বক্তব্য, ২০১১ সালে সাচার কমিটির রিপোর্টে সংখ্যালঘুরা শিক্ষায় অনেক পিছিয়ে আছেন, এটাকে হাতিয়ার করেই বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা ব্যানার্জি ঘোষণা করেন ১০,০০০ মাদ্রাসা দেওয়ার কথা, কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর ২০১৩ সালে তিনি ২৩৪ টি আন এডেড্ মাদ্রাসাকে সরকারি অনুমোদন দেন। কিন্তু শিক্ষিক-শিক্ষিকাদের কোন রুপ বেতন ও ছাত্র-ছাত্রীদের মিড ডে মিলের ব্যবস্থা করেননি। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি শেখ জাভেদ মিয়াঁদাদ জানান, যে তারা এই দীর্ঘ সময় ধরে সরকারপক্ষের কাছে বিভিন্নভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন কিন্তু কোনো সুরাহা ঘটেনি তাই তারা ফেব্রুয়ারি মাসের ১২ তারিখ থেকে মহামান্য হাইকোর্টের অনুমতিক্রমে অবস্থান বিক্ষোভে বসে্‌ আজ তার ৩২ তম দিন ও আমরণ অনশনের ২৮ তম দিন এবং কাফন আন্দোলনের ২৪ তম দিনে পড়েছে। তাঁরা আরও জানাচ্ছেন, এই ৩২ দিনে তারা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ৩২ টি চিঠি দিয়েছেন সাক্ষাৎ চেয়ে। কিন্তু কোনো সদুত্তর না আসায় তারা আজকে নিজের শরীর থেকে রক্ত দিয়ে স্বেচ্ছায় মৃত্যু বরণ করার আবেদন জানিয়েছেন তাঁর কাছে, পাশাপাশি হাইকোর্টে আপিল করছেন স্বেচ্ছায় মৃত্যুর বরণ করার অনুমতি চেয়ে। 

উল্লেখ্য, বিক্ষোভকারীরা বলছেন, সম্পূর্ণ খোলা আকাশের নিচে পুলিশের সম্পূর্ণ অসহযোগিতায় এই আন্দোলন চলছে তাদের। প্রশাসনের অসহযোগিতার জন্য সকল রকম মানবিক সহযোগিতায় থেকে বঞ্চিত তারা। ন্যূনতম পানীয় জল ও বায়োটয়লেটের কোন ব্যবস্থা নেই সেখানে বলেও অভিযোগ। তাদের প্রশ্ন, তারা সংখ্যালঘু বলেই কী প্রশাসনের চরম অমানবিকতা? রাজ্যের বিরোধী দলগুলি বারবার বর্তমান সরকারের প্রতি সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ এনেছে। কিন্তু আদতে বর্তমান সরকারের আমলে সংখ্যালঘুদের শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে কী আদেও কোনও উন্নয়ন হয়েছে? উঠছে প্রশ্ন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *