বালুরঘাট: বহু দিন ধরেই একটা স্মার্টফোন কেনার শখ ছিল তার৷ প্রতিবেশীর ফোন থেকে অনলাইনে একটি স্মার্টফোন অর্ডারও দেওয়া হয়ে গিয়েছিল৷ কিন্তু টাকা কোথায়? কী ভাবে টাকা জোগাড় করবেন, তা ভেবে পাচ্ছিল না সে৷ অতঃপর একটা বুদ্ধি আসে৷ নিজের রক্ত বিক্রি করে ফোন কেনার সিদ্ধান্ত নেয় বালুরঘাটের এক কিশোরী। চুপিচুপি পৌঁছে যায় হাসপাতালের ব্ল্যাড ব্যাঙ্কে৷ কিন্তু ১৭ বছরের একটি কিশোরী ‘রক্তদান’ করতে এসেছে, সেটা দেখে সন্দেহ হয় হাসপাতাল কর্মীদের। সেই সন্দেহের বশেই তাকে আটক করা হয় এবং তুলে দেওয়া হয় বালুরঘাট চাইল্ডলাইনের হাতে। এই ঘটনায় শোরগোল পড়েছে বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল চত্বরে।
আরও পড়ুন- টেট উত্তীর্ণদের ধরনার বিরোধিতায় হাই কোর্টে পর্ষদ, দ্রুত শুনানির আরজি
প্রসঙ্গত, আমাদের দেশে রক্ত বিক্রি আইনত নিষিদ্ধ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সে সম্পর্কে অবহিত ছিলেন না ওই কিশোরী৷ তার উপর রক্ত বিক্রি করার কারণ শুনে চমকে যান হাসপাতালের কর্মীরা। এর পর চাইল্ডলাইনের কর্মীরা দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীর বাড়িতে খবর দেয়। পরে চাইল্ডলাইনের তরফে চাইল্ড ওয়েলফেয়ারের কাছে ওই কিশোরীকে কাউন্সেলিংয়ের জন্য পাঠানো হয়। শুধু মেয়ে নয়, তার বাবা-মায়েরও কাউন্সেলিং করা হয়। পরে তাঁদের বাড়ি পাঠানো হয়৷
এদিকে, মেয়ে রক্ত বিক্রি করছে খবর পেয়েই ছুটে এসেছিলেন বাবা। তিনি জানান, তাঁদের বাড়িতে একটা ছোট মোবাইল ফেন ছিল৷ ওর যে স্মার্টফোনের শখ, সে কথা আমাকে কখনও জানায়নি মেয়ে। ও কেন আর কার কথা শুনে রক্ত বিক্রি করার বুদ্ধি পেল তা বুঝতে পারছেন না তাঁরা৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>