কলকাতা: সিইএসসির বিদ্যুতের বিলের অঙ্কটা হঠাৎ করে বেড়ে গিয়েছে৷ আগে যাঁদের কখনও বিল আসত যেখানে ৪০০ টাকা, সেখানে এখন বিল আসছে কমপক্ষে ২ হাজার টাকা৷ কখনও আবার ১০ হাজার টাকা৷ এর থেকে নিস্তার পাননি ফিরহাদ ববি হাকিম হোক বা রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়৷ অভনেতা অঙ্কুশের বাড়িতে গিয়েছে ২১ হাজার বিদ্যুৎ বিল৷
সাধারণভাবে যা বিল আসে, তার থেকে অনেক বেশি বিল এসেছে ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে৷ বাদ পড়েননি টলি তারকারাও৷ অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরায় বিদ্যুতের বিল এসেছে ২১ হাজার টাকা। বিদ্যুতের বিল হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ার জেরে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ৷ বিভিন্ন জায়গায় অস্বাভাবিক বিদ্যুতের বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, কলকাতার একটি পরিবারে বিদ্যুতের বিল এসেছে ১ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা৷
বর্ধিত বিদ্যুৎ বিল বাতিলের দাবিতে তারাতলার সিইএসসির অফিসের সামনে উপভোক্তারা বিক্ষোভ দেখান আজ৷ তাঁদের অভিযোগ, আগে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হত, এখনও সেই পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়েছে৷ তারপরেও কি করে এত বিল আসছে? বিক্ষোভকারীদের অনেকে জানিয়েছেন, লকডাউনের জেরে অনেকে কাজ হারিয়েছেন৷ যাঁদের কাজ আছে, তাঁদের অনেকে অর্ধেকের কম মাইনে পাচ্ছেন৷ তারমধ্যে করোনা আবহ৷ এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবেন? বিলে জল মেশানো হচ্ছে বলেও অনেকে অভিযোগ করেন তাঁরা৷
বিদ্যুতের বিল এত ব্যাপক পরিমাণে আসার জেরে অনেকেই বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হয়েছেন। তিনি সকলকে সিইএসসির অফিসে যাওয়ার আবেদন করেন। বিদ্যুমন্ত্রী সিইএসসির এই কার্যকলাপে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, “আমি সিইএসসিকে বলেছি যেন অতি অবশ্যই আগামী কালের মধ্যে সংবাদপত্রে তারা বিস্তারিত ভাবে ব্যাখ্যা করে একটি বিজ্ঞাপন দেয়, যাতে মানুষের কাছে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়৷ সিইএসসি বিল বাড়ালে তার চাপ আমাকে কেন সহ্য করতে হবে? আমার বাড়িতেও যে বিল এসেছে তা অন্যান্য বারের চেয়ে অনেকটাই বেশি। আমি বলেছি সেটি রিভিউ করতে হবে৷’’ প্রশ্ন উঠছে, মন্ত্রী যদি নিজের বর্ধিত বিল রিভিউ করার দাবি জানান, তাহলে সাধারণ জনতার বিদ্যুৎ বিলের মূল্যায়ন করবে কে?