কথা রাখেননি পুরমন্ত্রী, হতাশ চাঁচলের বাসিন্দারা

কথা রাখেননি পুরমন্ত্রী, হতাশ চাঁচলের বাসিন্দারা

a91a84613cf2e02f056b06d75faf721c

 

চাঁচল: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্য সরকারের প্রতিশ্রুতি ছিল চাঁচলে পুরসভা ঘোষণা করা হবে। নির্বাচন শেষ হয়েছে চার মাস আগে।  ভোটের চার মাস কাটতে সেই পুরসভার অনুমতি দেওয়া হল না৷ অনুমতি দেওয়া হল উত্তরবঙ্গের অন্য দুটি পুরসভাকে। উত্তরবঙ্গের অন্য দুটি পুরসভা চালু হলেও চাঁচলের নাম সেখানে নেই। আর যা নিয়ে হতশা তৈরি হয়েছে চাঁচলবাসির মনে।

তৃণমূল প্রার্থী নীহাররঞ্জন ঘোষের নির্বাচনী প্রচারে চাঁচল কলমবাগানে এসে পৌরসভা চালু করা নিয়ে রাজ্যপালের অনুমোদন মিলেছে বলে জানিয়েছিলেন রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীও আশ্বাস দিয়েছিলেন তৃণমূলের দলীয় প্রার্থীদের জেতান পৌরসভা হবে। চাঁচল বিধানসভার প্রার্থী নীহাররঞ্জন ঘোষের পাশাপাশি চাঁচোল মহাকুমার তিনটি আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। ফলে এবার হয়তো চাঁচলে পৌরসভা হবে এই আশায় বুক বেঁধে ছিলেন চাঁচলের বাসিন্দারা।

উত্তরবঙ্গের দুটি পৌরসভার প্রস্তাব আসলেও চাঁচোলের নাম সেখানে নেই। কেন নাম নেই, তা নিয়ে বিধায়কের কাছে প্রশ্ন চিহ্ন ছুঁড়ে দিয়েছে চাঁচলের জনগণ। চাঁচলের বাসিন্দা রাজু পান্ডে বলেন, আমাদের চাঁচলবাসির দীর্ঘদিনের দাবি চাঁচলকে পৌরসভা করা হোক। চাঁচল থেকে তৃণমূল বিধায়ক এবার জিতেছেন৷ সুতরাং আমাদের আশা ছিল চাঁচল কে এবার পৌরসভা করা হবে। কিন্তু উত্তরবঙ্গের দুটি জায়গায় পৌরসভা ঘোষণা হলেও চাঁচলের নাম সেখানে নেই। চাঁচল আদৌ পৌরসভা হবে কিনা তা নিয়ে রীতিমতো আমরা ধন্দে। তবে ভোটের আগে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছাড়া আর কিছুই না বলে মনে করছেন শহরের বাসিন্দারা। যদিও চাঁচলের বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষ জানান, চাঁচল পৌরসভা চালু করার বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি ধৈর্য ধরতে বলেছেন। দ্রুত চাঁচলে পৌরসভা হবে।

২০০১ সালের ১ লা এপ্রিল চাঁচল মহাকুমা গঠন হয়। তারপর ২০১০ সালের ১৬ জুলাই তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার চাঁচলকে পৌরসভা ঘোষণা করে। পালাবদলের পর ২০১৪ সালের ১১ জুন পুরসভা করা হয় বলে ঘোষণা করা হয়। ঘোষণায় সার, চাঁচল পুরসভা চালু না হওয়ায় মহকুমা শহর আজও রয়ে গিয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে। যার ফলে এলাকার উন্নয়ন হচ্ছে না, নিকাশি সমস্যা থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট পথবাতি যানজট শহরের বাসিন্দারা জেরবার। এখন কবে হবে পুরসভা সেই আশায় দিন গুনছেন চাঁচলের বাসিন্দারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *