বারাসত: দুর্গা পুজো পর ফের করোনার গ্রাফ উর্ধমুখী। যা বেশ চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে প্রশাসনের কপালে। তাই জরুরি ভিত্তিতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার ও প্রশাসন। উত্তর ২৪ পরগনাতেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তাই কালীপুজোর আগেই মিনি কনটেনমেন্ট জোন তৈরি করা হল বারাসতে।
বারাসাত পৌরসভার ৪ নম্বর ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সক্রিয় হয়েছে প্রশাসন। আজ থেকে এই দুই ওয়ার্ডে যে যে বাড়িতে আক্রান্ত রয়েছে তাদেরকে বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধ করেছে প্রশাসন। সরকারের পরিভাষায় এগুলি হল মিনি কনটেনমেন্ট জোন। ইতিমধ্যে বারাসতে বড় থেকে ছোট কালীপুজো কমিটিগুলো মণ্ডপ তৈরি শুরু করে দিয়েছে। প্রশাসনের তরফ থেকে পুজো কমিটিগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ভিআইপি পাস করা যাবে না ও তিন দিক খোলা প্যান্ডেল বানাতে হবে। তারই মাঝে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ৷ তাই কপালে ভাঁজ পরেছে প্রশাসনের।
অন্যদিকে প্রায় ১,২০০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি আটক করেছে হাওড়ার লিলুয়া থানার জগদীশপুর ফাঁড়ির পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে দু’টি লরি করে ১২০০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি হাওড়ার বেনারস রোড দিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগণা থেকে হুগলির ডানকুনিতে পাচার করা হচ্ছিল। বেনারস রোড দিয়ে যাওয়ার সময়ই পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় দু’টি গাড়িকে আটক করে তারা। বাজির সঙ্গে লরিতে থাকা ৬ জনকেও গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতরা প্রত্যেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগণার বাসিন্দা। এ বিষয়ে হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি নর্থ অনুপম সিং বলেন, শনিবার রাতে গোপন সূত্রে তথ্যের ভিত্তিতে জগদীশপুর আউট পোস্ট থানার ইনচার্জ এসআই সুজয় দাসের নেতৃত্বে বিশেষ অভিযানে এই আতশবাজি আটক হয়। দুটি মিনি ট্রাক বোঝাই ১১৮৫ কেজি বিভিন্ন ধরণের আতশবাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়। মহেশতলা থানার নুঙ্গি থেকে এগুলো আনা হয়েছিল বলে জানা গেছে। এবং বিক্রির জন্য অবৈধভাবে ডানকুনি থানা এলাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।