গঙ্গাসাগর: পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে বহু যুগ আগে সাগরতটের এই বালুকাময় প্রান্তরে কপিলমুনির অভিশাপে ভস্ম হয়ে গিয়েছিল অযোধ্যার পরাক্রমশালী সগর রাজার ষাট হাজার পুত্র। দীর্ঘ তপস্যার পর অভিশপ্ত পিতৃপুরুষের আত্মাদের উদ্ধারের জন্য গঙ্গাকে জলধারা রূপে কপিলমুনির তপস্থলিতে টেনে এনেছিলেন ভগীরথ। সেই জলের স্পর্শে পিতৃপুরুষদের উদ্ধারের পাশাপাশি সাগরের সঙ্গে গঙ্গাকে মিলিয়ে দিয়ে তীর্থশ্রেষ্ঠ হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন।
আজ, মঙ্গলবার ভোর থেকে ভগীরথের সেই পুণ্যতীর্থ পবিত্র গঙ্গা ও সাগরের মিলনধারায় মকর সংক্রান্তির স্নানে মোক্ষলাভ করলেন লাখো লাখো পুণ্যার্থী। কোনও কোনও প্রাচীন পঞ্জিকা মতে সোমবার গভীর রাত থেকে মকরের স্নান শুরু হয়৷ তবে সরকারি ও প্রশাসনের তথ্য অনুসারে মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের আগে থেকে স্নানের মাহেন্দ্রক্ষণ৷আজ বেলা ১১টা ৪৭ মিনিট পর্যন্ত ছিল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। কপিলমুনির আশ্রম কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছে, সন্ধ্যা পর্যন্ত স্নানের সুযোগ রয়েছে৷