কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার তথা তৃণমূল কংগ্রেস দলকে বরাবর ‘চাল চোর’ বলে আক্রমণ শানিয়ে এসেছে বিজেপি শিবির। এবার সেই অভিযোগ কি স্বীকৃতি পেতে চলেছে? এক শিক্ষক সংগঠনের দাবি অন্তত তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে। কারণ তাদের বক্তব্য, বরাদ্দের কম পরিমাণ চাল পড়ুয়াদের দেওয়া হয়েছে! অর্থাৎ পর্যাপ্ত চাল মিলছে না মিড-ডে মিলে। আরও বড় ঘটনা হল, ৪০ লক্ষ পড়ুয়া গত ১৮ মাস ধরে চাল পায়নি! এই ইস্যুতে এখন সরগরম রাজ্য রাজনীতি।
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির জন্য গত বছর থেকে বন্ধ ছিল রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তাই স্বাভাবিকভাবেই বন্ধ ছিল মিড-ডে মিল। তবে পড়ুয়াদের মধ্যে চাল বিতরণ করা হয়েছে। আর এখানেই হিসেব করে দেখা গিয়েছে যে, বরাদ্দ অনুযায়ী কম চাল পেয়েছে পড়ুয়ারা এবং মোট ৪০ লক্ষ পড়ুয়া এই চালই পায়নি। তথ্য বলছে, উচ্চ প্রাথমিকে পড়ুয়া পিছু দৈনিক ১৫০ গ্রাম চাল রাজ্যেকে দেয় কেন্দ্র। সেই হিসেবে প্রত্যেকের মাসে পাওনা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম চাল। কিন্তু দেখা গিয়েছে তারা পেয়েছে ২ কেজি চাল! অর্থাত্, মাসে পড়ুয়াপিছু ১ কেজি ৩০০ গ্রাম চাল কম দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে আবার, মোট ৪০ লক্ষ পড়ুয়া ১৮ মাস ধরে চাল পায়নি। তাহলে এখন প্রশ্ন, এত কেজি চাল গেল কোথায়? এর কোনও উত্তর নেই আপাতত।
ওই শিক্ষক সংগঠনের বক্তব্য, গোটা বিষয়ের কথা ব্যক্ত করে ইতিমধ্যেই তারা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, মোট প্রায় ১৪০০ কোটি টাকার সামগ্রী কম পেয়েছে পড়ুয়ারা। এই ইস্যুতে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বক্তব্য, পুরো বিষয়টি খতিয়ে না দেখে তিনি কিছু বলতে পারবেন না। যদিও, তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার আদতে যা বলে সেই পরিমাণ চাল দেয় না। কেন্দ্রের থেকেই চাল কম আসছে, যার হিসেব নেই তাদের কাছে।