এবার কি তবে স্থায়ী হবে শীত? কী বলছে আবহাওয়াবিদরা?

এবার কি তবে স্থায়ী হবে শীত? কী বলছে আবহাওয়াবিদরা?

কলকাতা: নিম্নচাপ, ঘূর্ণিঝড়, মেঘলা আকাশের বাধা কাটিয়ে অবশেষে নির্বিঘ্নে বাংলায় উত্তুরে হওয়ার আনাগোনা। ইতিমধ্যে শীত জাঁকিয়ে বসেছে উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতে। শুক্রবার রাত থেকেই ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। শনিবার রাতে তাপমাত্রার এই পারদ আরও নেমে যায়। রবিবার সকাল থেকে শীত শীত আমেজ অনুভব করতে শুরু করে বঙ্গবাসী। তবে কি বঙ্গে পাকাপাকিভাবে শীতের আমেজ শুরু হল? আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী কয়েক দিনে কলকাতার তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নামতে পারে। স্থায়ী হতে পারে উত্তুরে বাতাস।

অন্যান্য বছর এই সময় দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে শীতের রেশ প্রকট হয়ে যায়। চলতি বছরের ডিসেম্বরেও তেমনটা হয়েছিল। কিন্তু হালকা শীতের আমেজ পড়তেই হঠাত্‍ ঘূর্ণিঝড়ের নিম্নচাপ, একের পর এক পশ্চিমী ঝঞ্জায় আটকে যায় উত্তুরে হাওয়া। ফলে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই বেড়ে যায়। শুরু হয় গুমোট গরম। তবে সেই গুমোট গরম আর ফিরবে না দক্ষিণবঙ্গে। কারণ আবহাওয়াবিদদের কথা অনুযায়ী উত্তুরে হাওয়া ঢুকতে শুরু করে দিয়েছে। যার ফলে রাতের দিকে তাপমাত্রা তরতরিয়ে নামবে। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জাঁকিয়ে শীত নিয়ে পূর্বাভাসে জানিয়েছে,  পশ্চিমের জেলাগুলিতে ১৫ ডিসেম্বর থেকেই আরও ভালোভাবেই টের পাওয়া যাবে শীত। সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ কমে দাঁড়াবে ১২ ডিগ্রির কাছাকাছি।  তবে আবহাওয়া দফতরের তরফে এও জানানো হয়েছে, শীতের স্থায়ীত্ব নিয়ে স্পষ্ট ধারণা পেতে সোমবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

একের পর এক নিম্নচাপ, বৃষ্টিতে হারিয়েছিল হেমন্তের আমেজ৷ নিম্নচাপের ধাক্কায় বারবার বাধা পেয়েছে শীত৷ হেমন্তের শেষে উত্তুর হাওয়াও ছিল অধরা৷ বৃষ্টিভেজা স্যাঁচস্যাঁতে আবহাওয়ায় বিরক্ত হয়েছিলেন বঙ্গবাসী৷ কিন্তু সকলকে আশ্বস্ত করে এবার হাওয়া অফিস জানিয়ে দিয়েছে, চলতি সপ্তাহেই শীতের দেখা মিলবে। তা টেরও পাওয়া যাচ্ছে৷ বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, হেমন্ত শেষ হয়ে এসেছে। আগামী সপ্তাহেই পৌষ মাস শুরু হবে। অর্থাৎ বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, শীতকালের শুরু। অনেকে বলছেন, বাংলা ক্যালেন্ডার মেনেই বোধ হয় এ বার চলতে চাইছে প্রকৃতি। তাই পৌষ শুরুর ঠিক আগেই জাঁকিয়ে বসার ইঙ্গিত দিচ্ছে শীত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *