কলকাতা: যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় যাকে প্রথম গ্রেফতার করেছিল পুলিশ, সেই প্রাক্তন ছাত্র সৌরভ চৌধুরীর বিরুদ্ধেই আরও একটি বড় অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার দিন রাতেই নাকি সে তড়িঘড়ি একটি বৈঠক ডেকেছিল। মেন হস্টেলের এ-২ ব্লকের তিনতলার বারান্দা থেকে আছড়ে পড়া ছাত্রকে যখন হাসপাতালে পাঠানোর তোড়জোড় চলছে, তখনই নাকি সেই বৈঠক চলে হস্টেলের নীচে। কিন্তু এই বৈঠকের কারণ কী? পুলিশের অনুমান, ঘটনা সম্পর্কে বাকি ছাত্রদের বয়ান যাতে এক হয়, সেই চেষ্টাই করা হয়েছিল এই বৈঠক থেকে।
পুলিশ তাদের প্রাথমিক তদন্তে আগেই জানতে পেরেছিল, ঘটনার পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টলে একাধিক জেনারল বডি বৈঠক হয়েছিল। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সৌরভ ও বাকি দুই অভিযুক্তও উপস্থিত ছিল। সূত্রের খবর, হস্টেলের এক আবাসিক এখন পুলিশকে জানিয়েছে, সেই রাতে সৌরভই তাদের জানিয়েছিল যে, প্রথম বর্ষের ওই ছাত্র হঠাৎ তিন তলা থেকে পড়ে গিয়েছে। পড়ে যাওয়ার আগে সে কোনও কারণে উত্তেজিত ছিল, সমকামী নই বলে চিৎকার করে হস্টেলের নানা জায়গা ঘুরছিল। সে পুলিশকে এও জানিয়েছে, অর্থনীতির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র দীপশেখর দত্ত সৌরভকে সমর্থন করেছিল। প্রসঙ্গত, তাকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
পুলিশের কাছে আরও বিস্ফোরক দাবি করে ওই আবাসিক জানিয়েছে, সে সিনিয়র হলেও সেদিন রাতে মৃত ওই ছাত্র তার কাছে ‘ইন্ট্রো’ দিতে আসেনি। পরে রাতের দিকে হইচই শুনে সে নীচে গিয়ে বৈঠকে যোগ দেয়। তার কথায়, সে যখন প্রথম বর্ষে ছিল তখন তাকেও এইভাবে ‘ইন্ট্রো’ দিতে হয়েছে। তার আরও বক্তব্য, দীপশেখর জানিয়েছিল চিঠির কথা। আগে কে, কী করেছিল তার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে একটি চিঠি লিখতে বলা হয় প্রথম বর্ষের ছাত্রটিকে। সে নিজে না লেখায় দীপ নিজেই লিখেছিল চিঠি।