কাঁথি: বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের আর কয়েক মাস বাকি। তার আগে দলবদল এর নিরিখে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে বঙ্গের রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূল কংগ্রেস থেকে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এই ঘটনার পর থেকেই বাংলার রাজনৈতিক উত্তেজনা আরো বেড়ে গেছে। বিজেপিতে যোগ দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একের পর এক আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু। তবে পিছিয়ে নেই তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন কাঁথি থেকে জনসভা করে শুভেন্দু অধিকারীকে একহাত নিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়। তিনি স্পষ্ট দাবি করলেন, যারা সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে হাত মেলায় তাদের মেদিনীপুর ক্ষমা করবে না।
সৌগত রায়ের বক্তব্য, একদিন যাঁরা সতীশ সামন্তের কথা বলতেন, আজ তাঁরা শ্যামাপ্রসাদদের দলে যোগ দিয়েছেন। সুবিধাবাদী নেতারা এখন গান্ধী হত্যাকারীদের দলে চলে গিয়েছেন। সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে তারা, তাদের কাউকে মেদিনীপুর ক্ষমা করবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়। এদিন তিনি আরো বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে প্রশান্ত কিশোর এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক করান তিনি। কিন্তু সেই বৈঠকের শুভেন্দু অধিকারী অভিষেকের বিরুদ্ধে কোনো বক্তব্য রাখেননি এমন কি বলেছিলেন তাঁর কোন সমস্যা নেই। এদিকে বিজেপিতে যোগ দিয়েই তার বিরুদ্ধে আক্রমণ করছেন, শুভেন্দুর কি লজ্জা হয় না, প্রশ্ন তোলেন সৌগত। উল্লেখযোগ্য বিষয়,আজকের কাঁথির তৃণমূল কংগ্রেসের এই জনসভা মঞ্চে অধিকারী পরিবারের কোনো সদস্য ছিল না।
এদিন কাঁথির জনসভায় সৌগত রায় কেন্দ্রীয় সরকারকে একের পর এক আক্রমণ করে বলেন, দেশ এখন চূড়ান্ত অর্থনৈতিক ব্যর্থতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে অন্যদিকে একের পর এক সরকারি সংস্থা, ব্যাংক এবং বিমানবন্দর বেছে দিচ্ছে কেন্দ্র। এদিকে বাংলা দখলেরউদ্দেশ্যে একের পর এক বহিরাগত ঢুকছে পশ্চিমবঙ্গে। সৌগতের কথায়, বাংলার বিজেপি নেতারা একেবারেই ব্যর্থ হয়েছেন, সেই কারণে বাইরের লোক ঢোকাতে হচ্ছে বিজেপিকে। এই প্রসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দিবা স্বপ্ন দেখছে, বাংলায় তারা ৯৯ পেরোতে পারবে না আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে।