কলকাতা: জোট দলগুলির ঐতিহাসিক ব্রিগেড সমাবেশে যোগ দিয়ে আজ সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম সকলকে মনে করিয়ে দিলেন যে, ‘বসন্ত এসে গিয়েছে’! আত্মবিশ্বাসের সুরে লাল ব্রিগেডের নেতার দাবি, এবার আর লালরঙা ফুল ফোটানো কেউ আটকাতে পারবে না। এর পাশাপাশি নিজের স্বভাব সিদ্ধ ভঙ্গিতে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপিকে প্রত্যক্ষভাবে একহাত নিলেন তিনি।
এদিন সেলিম বললেন, কেউ কেউ বলছে খেলা হবে, আবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী গোটা স্টেডিয়াম দখল করে নিয়ে বসে আছেন। কিন্তু লালরঙা ফুল ফোটানো আর কেউ আটকাতে পারবে না, কারণ বসন্ত এসে গেছে! ফেব্রুয়ারির শেষ রবিবারের ব্রিগেড বাম নেতাদের একের পর এক আক্রমণাত্মক স্লোগান এবং ভাষণে ভরে গিয়েছে। আজ এই ব্রিগেডে অংশ নিয়েছে বামফ্রন্ট, কংগ্রেস থেকে শুরু করে আব্বাস সিদ্দিকীর ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। গোটা ব্রিগেড গ্রাউন্ড ভরে গিয়েছে রংবেরঙের দলীয় পতাকায়। সেই প্রেক্ষিতে আজকের ব্রিগেড জোটকে নানা রঙের ফুলের আখ্যা দিয়েছেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম। তিনি আরো বলেছেন, ঝরা পাতার দিন এখন শেষ, এবার কচি পাতা উঁকি দিচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসকে তুলোধনা করে তাঁর বক্তব্য, যারা বলেছিল লাল ঝাণ্ডার থাকবে না, তারা তৃণমূলের ঝাণ্ডাকে ন্যাকরা করে অমিত শাহের জুতো পালিশ করছে। এক্ষেত্রে যারা দল বদল করে বিজেপিতে গিয়েছেন তাদের কটাক্ষ করলেন সেলিম তা বলাই বাহুল্য। তাঁর আরও সংযোজন, এক দশক ধরে দিদি আর মোদীর খেলা চলছে, এবারে তাদের নক আউট করতে হবে।
সেলিম আরো বলেন, বাংলা এখন অন্নহীন এবং কর্মহীন।যেদিন থেকে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছে সেদিন থেকে বিভাজনের রাজনীতি চলছে রাজ্যে। চিটফান্ডের টাকা যারা লুট করেছিল তারা এখন নরেন্দ্র মোদীর কাছে গিয়ে অপরাধীদের শাস্তির দাবি করছে, এই মন্তব্য করেও তৃণমূল ত্যাগী নেতাদের একহাত নিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে, তিনি মন্তব্য করেন, ”ক্ষমতায় এলে যারা লুঠ করেছে তাদের বাড়ি, সে ‘শান্তিনিকেতন’ হলেও নিলাম করব। সমস্ত শূন্যপদ পূরণ করব। নিয়মিত এসএসসি হবে, মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা হবে।”