চুঁচুড়া: শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে বিজেপি সরকার এনেছে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন৷ আর এই আইন দেশে পাস হয়েছে একবছরের বেশি সময় আগে। কিন্তু তা এখন পুরোপুরি কার্যকর হয়নি৷ ফলে অনেকই পাননি নাগরিকত্ব। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রদর্শন করলেন হুগলি জেলার চুঁচুড়া এলাকার মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের একাংশ।
হুগলি জেলার চুঁচুড়া বিধানসভা এলাকার মতুয়াদের নাগরিকত্ব না মেলায় বিজেপি সরকারের উপর চাপা ক্ষোভ উগরে দেন। তাঁদের দাবি, “গত লোকসভা নির্বাচনের আগে আমাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় বিজেপি। তার জেরে আমাদের সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে ভোট দেয়। কিন্তু ভোটের পর আর এই বিষয়ে কোনো আলোচনা করেননি সাংসদ৷” এছাড়াও মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষরা এদিন অভিযোগ করেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগেও তাদের এভাবেই প্রলোভীত করার চেষ্টা চলছে বিভিন্নভাবে।
মতুয়ারা আরও অভিযোগ, খুব অল্প পরিমাণ মানুষ ছাড়া তাঁদের সম্প্রদায়ের কেউ ভোটার কার্ড বা রেশন কার্ড বা নাগরিকত্বের কোনো প্রমাণপত্র পাননি। এছাড়াও তারা জানান, তাদের সম্প্রদায়ের অনেকেই রেললাইনের ধারে ঝুপড়িতে কষ্টে দিনযাপন করছেন। মতুয়াদের আরো অভিযোগ, নাগরিকত্বের প্রমান না থাকায় তাদের মিলছে না সরকারি কোনো সুবিধা বা ভাতা এবং অসুবিধা হচ্ছে যুবক যুবতীদের চাকরির ক্ষেত্রে।
শুধু হুগলির চুঁচুড়া নয়, রাজ্যের আরো অন্যান্য জেলায় মতুয়াদের মধ্যে বিজেপির প্রতি ক্ষোভ বেড়েছে নাগরিকত্ব না পাওয়া নিয়ে। উল্লেখ্য, বনগাঁর মতুয়া সাংসদ শান্তনু ঠাকুর সিএএ নিয়ে বিজেপির প্রতি বেশ ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। শান্তনুর মানভঞ্জনে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতাদেরও আসতে হয়েছিল বাংলায়। এছাড়াও সেখানের মতুয়া সম্প্রদায়ের সাধারণ মানুষের মধ্যেও ক্ষোভের সঞ্চার চোখে পড়েছিল মাসখানেক আগে। রাজ্যে মতুয়া ভোটে অন্য দলের কোপ রুখতে রবিবার ঠাকুরনগরে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র। কিন্তু হঠাৎ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভা বাতিল হওয়ায় খানিকটা অস্বস্তিতেই রয়েছেন বিজেপি নেতারা। এখন রাজ্যের বিজেপি নেতারা কিভাবে মতুয়াদের শান্ত রেখে নির্বাচনী প্রচারে সেইসব এলাকায় পা বাড়ান, তাই দেখার বিষয়।