কলকাতা: রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীদের চাকরি দিতে ‘যুবশ্রী’ প্রকল্প চালু করেছিল রাজ্য সরকার৷ কিন্তু রাজ্যে বেকারত্বের হার চোখে পড়ার মতো৷ বেকারদের সমস্যা দূর করতেই এবার মুখ্যমন্ত্রীর কছে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল যুবশ্রী সংগঠন।
আরও পড়ুন- চূড়ান্ত গাফিলতি! ১২ ঘণ্টা ফেলে রাখা হল করোনা আক্রান্তের মৃতদেহ
‘পশ্চিমবঙ্গ যুবশ্রী এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক কর্মপ্রার্থী সমিতি’র ডাকে ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে ‘যুবশ্রী পত্র-প্রতিবাদ সপ্তাহ’৷ এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছে গোটা রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীরা৷ উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ, প্রতিটি জেলা থেকে চিঠি পাঠানো হচ্ছে নবান্নের উদ্দেশে। এই প্রসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী তথা যুবশ্রী সংগঠনের উপদেষ্টা সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এক প্রেস বিবৃতিতে বলেন, ‘‘২০১৩ সালে মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, 'যুবশ্রী' থেকে স্থায়ী কর্মসংস্থান হবে৷ অথচ আজ পর্যন্ত সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি।’’ এর প্রতিবাদে এর আগেও বহুবার পথে নেমে দাবি জানানো হয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতির জেরে এবার প্রতিবাদের অন্য পন্থা গ্রহণ করা হয়েছে৷ এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কে নথিভুক্ত সকল বেকার যুবক-যুবতী মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়ে তাঁদের দাবি জানানোর এক অভিনব পথ গ্রহণ করেছে৷ এই আন্দোলনের জোয়ারে রাজ্যের বহু পোস্ট অফিসে পোস্টকার্ড এমনকি ডাক-টিকিটের অভাব দেখা দিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর দরবারে একাধিক দাবি জানিয়েছে যুবশ্রী সংগঠন৷ তাদের প্রধান দাবি হল স্থায়ী কর্মসংস্থান৷ এছাড়াও চাকরি না হওয়া পর্যন্ত জীবনধারণের মত উপযুক্ত ভাতা, প্রশিক্ষণের প্রমাণপত্র Annexure-III বাতিল করার মতো দাবিও জানানো হয়েছে৷ পরবর্তী সময় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে জেলায়-জেলায় এবং কলকাতার পথে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে যুবশ্রী সংগঠন৷
আরও পড়ুন- অবশেষে মুক্তি, কিন্তু জীবন থেকে হারিয়ে গেল ১৫টা বছর!
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ২৬ জুলাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমপ্লয়মেন্ট ব্যাংকের সূচনা করেন। যুবশ্রী প্রকল্প চালু হয় ২০১৩ সালের ১৩ অক্টোবর। অর্থাৎ সেই সময় থেকেই এই প্রকল্পে যুক্ত হতে শুরু করেন বেকার যুবক-যুবতীরা। শিক্ষাগত যোগ্যতার নিরিখে বিভিন্ন ভাগ রয়েছে৷ এই প্রকল্পে নাম লেখানোর জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ৷