কলকাতা: মহামারী আইন মোতাবেক মাস্ক ও স্যানিটাইজারের কালোবাজারি রুখতে এবার বড়সড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার৷ মাস্ক ও স্যানিটাইজার মজুতের ওপর নিয়ন্ত্রণ এনে নয়া নির্দেশিকা জারি রাজ্যের৷ মহামারী আইন অনুযায়ী কোনও ব্যবসায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ মাস্ক ও স্যানিটাইজার মজুত করতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ আইন ভাঙলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে নয়া নির্দেশিকায়৷
রাজ্য সরকারের তরফে নির্দেশিকা জারি করে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, খুচর ও পাইকারি বিক্রেতারা মাস্ক ও স্যানিটাইজার বেশি মাত্রায় মজুত করতে পারবেন না৷ কত পরিমাণ মাস্ক ও স্যানিটাইজার তাঁরা রাখতে পারবেন তারা নির্দিষ্ট সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে জানানো হয়েছে৷
খুচরো বিক্রেতারা ২০০-র মেশি মাস্ক মজুত করতে পারবেন না৷ 2 প্লাই মাস্ক ২০০ বেশি মজুত করা যাবে না বলেও জানানো হয়েছে৷ ৩ প্লাই মাস্ক দু'শোর বেশি মজুত করা যাবে না৷ N95 মাস্ক ১০০ বেশি কোনও বিক্রেতা মজুত রাখতে পারবেন না বলেও জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়৷ একই সঙ্গে খুচরো বিক্রেতারা স্যানিটাইজার ৫ লিটারের বেশি মজুত করতে পারবেন না বলেও জানানো হয়েছে৷ পাইকারি বিক্রেতারা তিন হাজারের বেশি মাস্ক মজুত করতে পারবেন না৷ ২ প্লাই ও ৩ প্লাই মাস্ক ৩ হাজারের বেশি মজুত রাখা যাবে না৷ পাইকারি বিক্রেতারা ১০০০ লিটার বেশি স্যানিটাইজার মজুত করতে পারবেন না৷
মহামারী আইনে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিক্রির উপর নিয়ন্ত্রণ আনতে নয়া নির্দেশিকা রাজ্যের৷ এমনিতেই করোনা পরিস্থিতির ছেড়ে গোটা বিশ্বে মাস্ক ও স্যানিটাইজারের হাহাকার পড়ে গিয়েছে৷ ব্যতিক্রম নয় ভারতও৷ বাংলায় চাহিদার তুলানায় মাস্ক ও স্যানিটাইজার অমিল৷ স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক, নার্সদের মধ্যে এই নিয়ে প্রবল বিক্ষোভ ছড়িয়েছে৷ বারংবার সাধারন জনতাও বাজারে গিয়ে মাস্ক ও স্যানিটাইজার খুঁজে পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ৷ আর এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিক্রি ও মজুতের উপর নিয়ন্ত্রণে আনার ঘোষণা করল রাজ্য সরকারের৷