কলকাতা: প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে রাজ্য সরকার আজ থেকে আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত স্কুলগুলিতে গরমের ছুটির ঘোষণা করেছে। সেই নির্দেশিকা আসার পরেই বেশিরভাগ স্কুলের ঝাঁপ বন্ধ। সরকারের এই সিদ্ধান্ত কেউ কেউ খুশি হলেও অধিকাংশ স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং অভিভাবকরা খুশি নন। তাদের বক্তব্য ছিল, কোভিডের কারণে এমনিতেই বহু মাস স্কুল বন্ধ ছিল। তারপর এখন কয়েক সপ্তাহ স্কুল খুলতেই আবার ছুটি। আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে কিনা তা দেখে গরমের ছুটি এগিয়ে আনলে ভাল হতে বলেই মনে করছিলেন তারা। কিন্তু আদতে সরকারি নির্দেশিকা সবাই মেনেছে কি? হয়তো না।
আরও পড়ুন- ব্রেকিং: স্কুল শিক্ষায় বিশেষজ্ঞ কমিটিতে ব্যাপক রদ বদল, পুরনো কমিটি ভাঙলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু
সরকারি নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাজ্যের বেশ কয়েকটি স্কুল আজ খোলা ছিল। জানা গিয়েছে, নৈহাটিতে ৩ টি সরকারি স্কুলে নিয়মিত পঠনপাঠন হয়েছে। স্কুলের তরফে জানান হয়েছে যে, অভিভাবকদের অনুরোধেই স্কুল খোলা ছিল। তবে শুধু খোলা নয়, পূর্বঘোষিত পরীক্ষাও হয়েছে এদিন। স্কুল কর্তৃপক্ষ এও জানিয়েছে, অভিভাবকরা কিছুতেই চাইছিল না যে স্কুল বন্ধ হোক, কারণ এর আগে অনেক মাস তা বন্ধ ছিল। তাই তাদের অনুরোধ রাখতেই স্কুল খোলা ছিল। নৈহাটি ছাড়াও, হুগলী সহ বেশ কয়েকটি জেলাতেও স্কুল খোলা ছিল বলে জানা যায়। ঘটনা হল, আজই স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার বিরোধিতায় কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা।
বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হাণ্ডা কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তিনি বলেন, এপ্রিল মাসে কয়েক দিন ধরে রাজ্যে তাপ প্রবাহ চলেছিল একথা ঠিক। সে জন্য শিক্ষামন্ত্রী পর্যালোচনা করেছিলেন এবং সর্বত্র সকালে স্কুল চালু হয়েছিল। এ সপ্তাহে পরবর্তী পর্যালোচনার ঘোষণা করা হয়েছিল। আরও বলা হয়েছিল ছুটি দেওয়ার ক্ষেত্রে করোনায় দীর্ঘ ২ বছর স্কুল বন্ধ থাকার জন্য পড়াশোনার ক্ষতির বিষয়টিও বিবেচনা করা হবে। কিন্তু এসব বিবেচনা না করেই হঠাৎ করে দীর্ঘ ছুটির ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে।