কলকাতা: দুর্গা পুজোর মতোই বাকি পুজোগুলিতে একই রকম বিধি নিষেধ আরোপ করা হল। কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো, কার্তিক পুজোতে দর্শক শূন্য থাকবে পুজো মণ্ডপ। জোড়া ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলেও মণ্ডপে প্রচুর ভিড় করা যাবে না। এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এর পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্ট আরও জানিয়ে দিয়েছে যে, বাজি সংক্রান্ত বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট যা রায় দিয়েছে সেটাই চূড়ান্ত। এই ব্যাপারে আর হস্তক্ষেপ করবে না আদালত।
যদিও আদালতের তরফে এও জানান হয়েছে যে, আজ নতুন কোনও নির্দেশ দিলেও তা রাজ্যের পক্ষে বাস্তবায়িত করা সম্ভব নয়। তাই আলাদা কোনও নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে না। রাজ্যের প্রতিটি জায়গায় পরিবেশবান্ধব বাজি ব্যবহার হবে কিনা তাও রাজ্যের পক্ষে নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। তবে আদালত এ জানিয়ে দিয়েছে যে, বাজির অপব্যবহার বন্ধের জন্য রাজ্যকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। এই প্রেক্ষিতে অ্যাডভোকেট জেনারেল জানিয়েছেন যে, রাজ্যে কোথাও শব্দ বাজি বা আতসবাজি ফাটবে কিনা তার নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে যাতে নিষিদ্ধ বাজি ব্যবহার না করা হয় তা রুখতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ, প্রশাসন। একই সঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে নিষিদ্ধ বাজি রাখা এবং ফাটানোর জন্য।
তাহলে সেই ২০২০ সালের মত এবারেই একই রকম নিষেধাজ্ঞা এবং নিয়ম জারি করা হয়েছে পুজোকে কেন্দ্র করে। এবারেও রাজ্যকে সতর্কতামূলক ক্যাম্প করতে বলা হয়েছে, সংবাদমাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। উল্লেখ্য, আজই হাইকোর্ট আরও নির্দেশ দিয়েছে, জনবহুল জায়গা, পথে-ঘাটে কোনও ভাবেই পোড়ানো যাবে না বাজি। বৃহত্তর মানুষের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে প্রতিটি জেলায় নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই বলে জানা গিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের কপি পুলিশ কমিশনার, রাজ্য পুলিশের ডিজি,এবং স্থানীয় থানা গুলিকেও পাঠানো হয়েছে বলে আদালতে জানান হয়েছে। এদিকে, রাজ্যে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের পক্ষ থেকে কালীপূজোর দিন রাত ৮ টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বাজি পোড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল আগেই।