জলপাইগুড়ি: শ্রাবণ মাসের সোমবারে শিবের মন্দিরে জল ঢালতে যাওয়ার পথে বিপত্তি। জল্পেশের মন্দিরে পৌঁছানোর আগেই বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যু হল ১০ পণ্যার্থীর। এই দুর্ঘটনায় আরও ১৬ জন গুরুতর আহত বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বর্তমানে তাঁরা জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, গাড়িতে থাকা জেনারেটার থেকে শর্ট সার্কিট, আর সেই কারণেই ঘটেছে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার মধ্যরাত বারোটা নাগাদ মেখলিগঞ্জ থানার অন্তর্গত ধরলা সেতুর ওপর।
প্রসঙ্গত, শ্রাবণ মাসের সোমবারে শিবের মাথায় জল ঢালার জন্য রাজ্যের অন্যান্য মন্দিরের মতো জলপাইগুড়ির জল্পেশের ওই শিব মন্দিরেও ব্যাপক পুন্যার্থীর ভিড় জমে। এরকমই কোচবিহারের শীতলকুচি থেকে ২৭ জনের একটি পুন্যার্থীর দল পিকআপ ভ্যানে করে রবিবার রাতে জল্পেশের শিব মন্দিরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। গাড়িতে আলাদা করে জেনারেটর লাগিয়ে ডিজে লাগানো হয়েছিল। আর তাতেই বিপত্তি। পুণ্যার্থীদের গাড়িটি চ্যাংড়া বান্ধার ধরলা নদীর সেতু পার করার সময়ই কোনভাবে জেনারেটার থেকে শর্ট সার্কিট হয়। আর তাতেই বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ১০ জনের। হঠাৎ গাড়ির মধ্যে একাধিক পুন্যার্থী অচৈতন্য হয়ে পড়লে পিকআপ ভ্যানের চালকই তাদের সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করে চ্যাংড়া বান্ধা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই ১০ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় এবং বাকিদের গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে আহত ১৬ জনকে জলপাইগুড়ির সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
এই দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত বর্মা জানান, গাড়িতে থাকা জেনারেটরটি দিয়ে ডিজে বাজানো হচ্ছিল। সেই জেনারেটরটি কোনও ভাবে শর্ট সার্কিট হয়ে গিয়ে এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, গাড়িতে চালকসহ মোট ৩৬ জন ছিলেন। ঘটনার পরে সাত জন ব্যক্তি গাড়ি থেকে নেমে যান এবং ঘটনাস্থলের কাছেই অপেক্ষা শুরু করেন বাড়ি ফেরার গাড়ির জন্য। রাজ্য হাইওয়ে ১৬-এর কাছে ব্রহ্মপুরে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায় তাঁদের। অন্যদিকে বর্তমানে গাড়ির চালকও নিখোঁজ বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>