কলকাতা: শেষ কয়েক দিনের মধ্যে একাধিক তৃণমূল বিধায়ক এবং মন্ত্রী দল ছেড়ে দিয়েছেন। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় নাম শুভেন্দু অধিকারী। তিনি ছাড়াও রয়েছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি, শীলভদ্র দত্তের মত তৃণমূল কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ নেতা। নাম না করে হলেও এই সমস্ত নেতাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বললেন, বেশ কিছু নেতা রয়েছেন যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখিয়ে সম্পত্তি করে নিয়েছেন। অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করেছেন। এখন তাদের ভয় দেখিয়ে নিজেদের দলে টানছে বিজেপি।
এদিন কাকলি দাবি করেন, বাংলায় বিজেপির নিজস্ব কোন সংগঠন নেই, তাই তৃণমূলের দল ভাঙিয়ে তাদের চলতে হচ্ছে। এদিকে তৃণমূলে এমন কিছু নেতা রয়েছেন যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখিয়ে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করে নিয়েছেন, নিজেদের সম্পত্তি করে নিয়েছেন। সেই কারণেই এখন ভোটের মুখে দল ছেড়ে দিতে হচ্ছে তাদের কারণ তাদের ভয় দেখাচ্ছে বিজেপি। কিন্তু কাকলির মত, এইভাবে আসলে তৃণমূল কংগ্রেস শক্তিশালী হচ্ছে আরও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল আগের থেকে অনেক বেশী স্বচ্ছ হচ্ছে। কাকলির বক্তব্য, এই ধরনের কিছু নেতাকে নিজেদের দলে টেনে বিজেপি ভাবছে বাংলায় ঢুকবে, কিন্তু এই পশ্চিমবঙ্গে তাদের কোনো জায়গা নেই এটা মানতে হবে। নাম না করে দলছুট অনেক নেতা এবং মন্ত্রীদের উদ্দেশ্য করে কাকলি এদিন বলেন, অনেক নেতারাই বুঝতে পেরেছিলেন যে তারা দীর্ঘদিন মানুষের সঙ্গে নেই, তাই এখন সুযোগ বুঝে বেরিয়ে যাচ্ছেন। তারা নিজেদের অবস্থান বুঝতে পেরেছিলেন আগে থেকে, কিন্তু তাড়াতাড়ি চলে যাওয়াতে তৃণমূল কংগ্রেসের কোন ক্ষতি হচ্ছে না, বরং দল আরো বেশি শক্তিশালী হচ্ছে।
ভারতীয় জনতা পার্টিকে আক্রমণ করে কাকলি আরো দাবি করেন, এত বছর ধরে বিজেপি বাংলায় নিজেদের মুখ বিবেচনা করতে পারল না। তাই এখন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের ভাঙিয়ে নিয়ে যেতে হচ্ছে তাদের। বিজেপি হঠাৎ মনে করছে বাংলা দখল করতে হবে, এতদিন ধরে বাংলার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্কই ছিল না, এখনও নেই। এই প্রেক্ষিতে কাকলি বলেন, বিজেপি ভাবছে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করলে তারা দুর্বল হয়ে যাবে। কিন্তু এই ধারণা ভুল। তৃণমূল কংগ্রেস যথেষ্ট স্বনির্ভর এবং সবল দল।