কলকাতা: একেই বলে নিয়তি। দিঘায় বেড়াতে এসেছিলেন পরিবার-বন্ধুদের নিয়ে। স্নান করতেও নেমেছিলেন আনন্দের সঙ্গে। কিন্তু আনন্দ মুহূর্তে বিষাদ হয়ে গেল সকলের জন্য। বজ্রাঘাতে দুই পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে দিঘায়। একই সঙ্গে জানা গিয়েছে, গোটা রাজ্যজুড়েই বাজের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৭ জনের। আর এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে রথযাত্রার দিনেই।
আরও পড়ুন: মণিপুরের ধস কেড়ে নিয়েছে দার্জিলিঙের ৯ জওয়ানের প্রাণ, শোকার্ত মমতা
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিঘায় ক্ষণিকা ঘাটে সমুদ্র স্নান করতে নেমেছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার কল্যাণীর একদল পর্যটক। সেখানেই বাজের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে দুই জনের। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন মৃত এক জনের স্ত্রী। অন্যদিকে পুরুলিয়ায় বাজ পড়ে একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৩ জন মহিলার। আবার পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে একই দিনে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। সব জায়গাতেই অনেকেই আহত হয়েছেন বলেও খবর। সকলেই এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুরুলিয়ার ঘটনায় আহত হয়েছেন তিন জন মহিলা। তারা বর্তমানে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তবে এখন হঠাৎ এত বেশি বাজ পড়ে কেন? এই প্রশ্নের প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলেন, এর অন্যতম বড় কারণ হচ্ছে দূষণ। তাছাড়াও রয়েছে গাড়ির ধোঁয়া, কলকারখানার ধোঁয়া, মাত্রাতিরিক্ত গাছ কাটা। বিগত কয়েক বছর ধরে এপ্রিল-জুন মাসে বাংলায় এই বজ্রগর্ভ মেঘের পরিমাণ বেড়েছে। জলীয় বাষ্পের আধিক্য, তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া, এইসবের কারণেই এমন ঘটনা। তাই দিন দিন বাজ পড়াও বেড়ে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, ‘কিউমুলোনিম্বাস’ মেঘ থেকে বজ্রপাত ও বৃষ্টি হয়। সেই কারণে এই মেঘকে বজ্রগর্ভ মেঘও বলা হয়ে থাকে।