অন‍্য বিধায়কের মতো আমদানি করা নই! দলকে আবার অস্বস্তিতে ফেললেন মনোরঞ্জন

অন‍্য বিধায়কের মতো আমদানি করা নই! দলকে আবার অস্বস্তিতে ফেললেন মনোরঞ্জন

কলকাতা: আবার একটি ফেসবুক পোস্ট, আবার একটি বিতর্ক, আবার তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী! বিধায়ক হওয়ার পর থেকে একের পর এক ফেসবুক পোস্ট করেছেন তিনি আর তার কয়েকটি পোস্টের জন্য বিরাট বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, অস্বস্তিতে পড়েছে তাঁর দল, তৃণমূল কংগ্রেসও। কিন্তু বিতর্ক থেকে নিজেকে যেন কিছুতেই দূরে রাখতে পারছেন না তিনি। এদিন নিজে দুর্নীতিগ্রস্ত নন, এটা বোঝাতে গিয়ে বিতর্ক বাড়ালেন মনোরঞ্জন। টেনে আনলেন দলের অন্য বিধায়কদের! সেই ফেসবুক পোস্ট ঘিরে জোর চর্চা। 

ফেসবুক পোস্টে নিজের আয় এবং খরচের খতিয়ান দিয়েছেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী, যা কোনও রাজনৈতিক নেতা সচারচর দেন না বলেই সকলে জানেন। কিন্তু এই তথ্য দিতে গিয়ে দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন বিধায়ক। কারণ তিনি লিখেছেন, অসুবিধা হয়ে যাচ্ছে যখন মানুষ তাঁকে অন‍্য কোন বিধায়কের মতো বেশ আমদানি করা কেউ ভাবছে! এতেই বিপত্তি। কী লিখেছেন মনোরঞ্জন? তিনি লিখেছেন, ”আমি একজন বিধায়ক। আমার মাসিক ভাতা ২৭,৫০০ টাকা। তিনটি স্ট্যান্ডিং কমিটির মেম্বার। মাসে ছটি মিটিং হবে। যার চারটেতে উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক। নাহলে পয়সা কাটা যাবে। আর উপস্থিত থাকলে চার পনেরো ষাট হাজার টাকা মিলবে। তাহলে ষাট আর সাতাশ, সর্ব মোট মাইনে হবে সাতাশি হাজার পাঁচশো টাকা। এবার একটু মাসিক খরচার হিসাবটা দেখে নেওয়া যাক।” তিনি জানাচ্ছেন, ”আমাকে একটা গাড়ি ভাড়া করতে হয়েছে। গাড়ির ভাড়া আর সারা দিনের যা তেল পোড়ে সব মিলিয়ে হাজার দুই। ড্রাইভার নেয় মাসে বারো হাজার আর খাই খরচ ধরে নিন আর তিনি হাজার। সিকিউরিটি দুজনের খাওয়া এর জন‍্য ধরুন আর ছয় হাজার। আমার সংসার খরচ ধরুন দিনের পাঁচশো মাসে পনের হাজার। সব মিলিয়ে হয়ে যায় ৯৬ হাজার। একে চা টিফিন ওকে এক দুই লিটার প্রেট্রোল ডিজেল, এতে ধরুন আর তিন চার হাজার। ডুমুরদহ অফিসে এক জন জিরাটে একজন, দুই অফিস সামলানোর জন‍্য দুজন কাজ করে। তাদের দিয়ে থাকি ছয় আর ছয়, বারো হাজার। সব মিলিয়ে মাসে খরচ প্রায় এক লাখ বারো পনেরো হাজার।” 

এবার এই বাড়তি খরচের হিসেব দিতে গিয়েই বেঁধেছে গোল। তিনি বলেছেন, ”আমি আগে একটা চাকরি করতাম। সেটা ছেড়ে দিয়েছি। পিএফ বাবদ পেয়েছি লাখ চারেক টাকা। সেখান থেকে এনে বাড়তি খরচ করেছি। বইয়ের রয়েলটি বাবদ বেশ কিছু টাকা আসে। সে কারনে আরো কিছু মাস চালিয়ে নিতে অসুবিধা হবে না। কিন্তু অসুবিধা হয়ে যাচ্ছে যখন মানুষ আমাকে অন‍্য কোন বিধায়কের মতো বেশ আমদানি করা কেউ ভেবে চাঁদা নিতে দৌড়ে আসছে। মেয়ের বিয়ে দেবো টাকা দাও বলছে। কেউ এসে বলছে কলেজে ভর্তির টাকা দাও। কেউ বলছে অসুধ কিনতে পারছি না টাকা দাও। পাগল হয়ে যাচ্ছি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × 3 =