কলকাতা: শেষ দু’দিনে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীকে নিয়ে জল্পনা তীব্র হয়েছে। গতকাল ফেসবুকে কার্যত বিস্ফোরক বক্তব্য রেখেছিলেন তিনি, হাঁপিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন, একইসঙ্গে রাজনীতিতে এসে তিনি ভুল করেছিলেন বলেও উপলব্ধি করেছিলেন। আজ আবারও জল্পনা বাড়ালেন তিনি কারণ ফেসবুক থেকে বিদায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিধায়ক। সে কথাও নিজেই জানিয়েছেন তিনি।
এদিন ফেসবুকে তিনি লেখেন, ”আমাকে কিছু দিনের জন্য ফেসবুক থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে। বন্ধ করে দিতে হচ্ছে টিভির সাক্ষাৎকার। কারন কিছু মানুষ খুব ধুর্ত আর কৌশলি হয়ে উঠেছে।যাদের হৃদয় বৃত্তি মরে গেছে। তারা মানবিক আর্তির ধার ধারেন না।” আদতে এই কথা যে তিনি গতকালের ফেসবুক পোস্ট এবং তার প্রতিক্রিয়া সম্পর্কেই লিখেছেন তা বলাই বাহুল্য। তিনি আরও বলেছেন, ”সহজ সরল ভাষা ভাবনাকে বাঁকিয়ে দুমড়ে মুচড়ে একটা অন্য রূপ দিয়ে মা মাটি মানুষের জনপ্রিয় সরকারকে বদনাম করতে চায় বিড়ম্বনার মধ্যে ফেলে বিশেষ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে চায়।” তাঁর দাবি, ”কোন একটা শিবির থেকে তাদের এই সব কাজে নিয়োজিত করা হয়েছে। যারা এই বিপুল জনাদেশ নিয়ে তৃতীয় বার ক্ষমতায় ফিরে আসা মা মাটি মানুষের দল তৃনমূল দলটাকে যেমন সহ্য করতে পারছে না, আমাকেও সহ্য করতে চাইছে না ছত্রিশ হাজার ভোটে পিছিয়ে থাকা অঞ্চল থেকে নয় হাজার ভোটে আমার জিতে যাওয়া। তাই সময় সুযোগ পেলেই আমাকে নানা কায়দায় বিপাকে ফেলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।” এক্ষেত্রে তিনি কোন শিবির বা দলের কথা বলতে চেয়েছেন তা আলাদা করে বলতে হবে না।
প্রসঙ্গত গতকাল তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী ফেসবুকে লিখেছিলেন, ”এত অভাবী দু্ঃখী মানুষ, এতো তাদের সমস্যা। তাদের সকল আশা ভরসার কেন্দ্রে এখন এসে দাঁড়িয়ে পড়েছি আমি। আমাকে ঘিরে তাদের অনেক আশা প্রত্যাশা। যেন আমার কাছে কোন জাদুকাঠি আছে যা দিয়ে তাদের সব সমস্যার সমাধান করে ফেলতে পারি… যখন দূরে ছিলাম, যখন তেমন ভাবে কিছু জানতাম না, খানিক সুখে ছিলাম। এখন সব দেখে জেনে – সরাসরি যুক্ত হয়ে আর কোনো রাতেই ভালো মতো ঘুমাতে পারছি না।কী এক কষ্টে মাঝরাতে উঠে পায়চারী করতে বাধ্য হই… আমি হাঁপিয়ে যাচ্ছি। সত্যিই আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। মনে হচ্ছে রাজনীতিতে এসে আমি বোধহয় ঠিক করিনি।”