কলকাতা: ফের বিস্ফোরক মনোরঞ্জন ব্যাপারী৷ নিজের দলের নেতাদের বিরুদ্ধেই বোমা ফাটালেন বলাগড়ের বিধায়ক৷ বুধবার রাতে ফেসবুক পোস্টে তিনি দাবি করেন, বলাগড়ে তিনি জিতলেও দলীয় নেতাদের একাংশ তাঁকে ভোটে হারিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন৷ কারণ স্থানীয় নেতাদের কাছে তিনি বহিরাগত৷ ব্যক্তিগত স্তরে আক্রমণও করা হয়েছে তাঁকে৷ করা হয়েছে কটূক্তি৷ অন্যদিকে মনোরঞ্জনের নিশানায় থাকা নেতাদের বক্তব্য, দলকে বিড়ম্বনায় ফেলতেই এহেন মন্তব্য করেছেন বিধায়ক৷
আরও পড়ুন- বানকে সাক্ষী রেখে চারহাত এক হল নব দম্পতির
গন্ডোগোলের সূত্রপাত হয়েছিল বলাগড় জিরাট কলেজে পোস্টার টাঙানোকে কেন্দ্র করে৷ ওই পোস্টারে প্রাক্তন বলাগড়ের বিধায়ক অসীম মাঝি এবং জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কারিগরি কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া হয়েছিল৷ এর বিরুদ্ধে সরব হন মনোরঞ্জনবাবু৷ তাঁর বক্তব্য ছিল, কোনও কলেজে বা সরকারি জায়গায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ছাড়া অন্য নেতার ছবি রাখা যাবে না৷ এটাই দলের নির্দেশ৷ জিরাট কলেজের সামনে অসীম মাঝি ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি টাঙানো হল কেন? তাঁদের ছবির বদলে দিদির জনহিতকর প্রকল্পের ছবি টাঙানো যেতে পারত৷ কলেজে কোনও নেতার ছবি থাকবে না৷ এমনকী তাঁর ছবিও থাকবে না৷ তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে জিরাট কলেজের সভাপতি করা হয়েছে। অথচ অসীম এবং শান্তনুর অনুগামীরা কলেজে তাঁদের ছবি লাগিয়ে গন্ডগোল করার চেষ্টা করছে।’’ এখানেই শেষ নয়৷ এই দুই নেতা বিধানসভা ভোটে তাঁকে হারিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বলেও বিস্ফোরক মন্তব্য করেন মনোরঞ্জনবাবু৷
আরও পড়ুন- কলকাতা-হাওড়ার পাম্পে ফুরোতে বসেছে পেট্রল-ডিজেল!
বলাগড়ের বিধায়ক আরও জানান, জিরাট বুথে উনি পরাজিত হয়েছেন৷ ভোটের সময় একটা সভাতেও উপস্থিত ছিলেন না শান্তনু৷ তিনি আরও জানান, এই নেতাদের কাছ থেকে তাঁকে কটূক্তিও শুনতে হয়েছে৷ কেন তিনি গলায় গামছা ঝোলান, কেন খৈনি খান, তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা কটুক্তি ও মন্তব্য করা হয়েছে৷ তাঁর সাফ কথা, ‘‘এত সবের পরেই মুখ খুলতে বাধ্য হচ্ছি৷ এতে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এলে আসুক৷ অসীম ও শান্তনু যে আমাকে হারিয়ে দিতে চেয়েছিল, সেটা দলকে জানাব৷’’