‘এক বিহারি শ’ বিমারি’, মনোরঞ্জন মন্তব্যে বিতর্কের ঝড়

‘এক বিহারি শ’ বিমারি’, মনোরঞ্জন মন্তব্যে বিতর্কের ঝড়

কলকাতা: একুশের বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি’র বিরুদ্ধে তৃণমূলের অন্যতম অস্ত্র ছিল ‘বহিরাগত’ তকমা৷ তৃণমূল নেতাদের মুখে বারবার শোনা গিয়েছে এই শব্দটি৷ সেই দলই আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী করেছে ‘বাহারীবাবু’কে৷ যা নিয়ে ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমেছে গেরুয়া শিবির৷ সেই বিতর্ক আরও বাড়িয়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারির একটি মন্তব্যের ভিডিয়ো টুইট করে বিতর্কের আগুনে ঘৃতাহুতি দিযলেন তিনি৷ 

আরও পড়ুন- রাজ্যেই মিলবে পড়ার সুযোগ, ইউক্রেন ফেরত ডাক্তারি পড়ুয়াদের বড় আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর

ওই ভিডিয়োতে বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারিকে বলতে শোনা যায়, ‘এক বিহারী, শ বিমারি।’ সেই বিতর্কেই এবার মুখ খুললেন মনোরঞ্জন৷ তিনি বলেন, বাঙালি হিসাবে তাঁকেও অনেক অপমানজনক মন্তব্য শুনতে হয়েছে৷ বিধানসভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মনোরঞ্জন বলেন, একবার ভাষা চেতনা সমিতির একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তিনি৷ সেই সময় বাঙালি হওয়ার জন্য অপমানিত হতে হয়েছিল তাঁকে। এমনকী বাংলায় কথা বলার জন্য তাঁকে বাংলাদেশ চলে যেতে বলা হয়েছিল। বিধায়কের কথায়, এই অপমানের পর পাল্টা জবাব দেওয়াটাই তো স্বাভাবিক। যদিও তাঁর দাবি, তিনি ‘বিহারী’ শব্দটা ব্যবহার করেননি। 

সেই সঙ্গে আসানসোল কেন্দ্রে প্রাক্তনমন্ত্রী শত্রুঘ্ন সিনহাকে তৃণমূলের প্রার্থী করা নিয়ে মনোরঞ্জন বলেন, ‘শত্রুঘ্ন কখনও বাঙালিদের অপমান করেননি৷ তাই তিনি বিহারী হলেও সম্মান পাওয়ার যোগ্য৷’ বলাগড়ের বিধায়ক মনে করেন, কাউকে সম্মান দিলেই সম্মান ফিরে পাওয়া যায়। কেউ যখন অপমান করেন, তখন কষ্ট হয়৷ 

এদিকে, শুভেন্দুর পোস্ট করা ভিডিয়োতে কলকাতা বইমেলার মঞ্চে বক্তব্য রাখতে দেখা যায় মনোরঞ্জন ব্যাপারিকে। সেখানে তিনি বলেন, ‘বিহারী’রা বলেন বাংলায় নাকি কিছুই নেই’। তাহলে বাংলায় পড়ে রয়েছে কেন? তাঁরা বিহারেই ফিরে যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, ‘বাংলায় আমাদের যা আছে তা দিয়েই ভালো থাকব৷’ শুধু তাই নয়, বিতর্র উস্কে মনোরঞ্জন বলেন,  ‘এক বিহারী মানে  ১০০ বিমারি।’ তাঁর সেই মন্তব্য ঘিকেই জোর বিতর্ক৷