Aajbikel

জিয়াগঞ্জে অরিজিতের সঙ্গে দেখা করলেন মন্ত্রী মনোজ, রাজনৈতিক যোগ?

 | 
অরিজিৎ মনোজ

জিয়াগঞ্জ:  কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে তাঁর কন্ঠে শোনা গিয়েছিল, 'রং দে তু মোহে গেরুয়া'। তাঁর এই গানকে কেন্দ্র করে লাগে রাজনীতির রং৷ দেখা দেয় তীব্র বিতর্ক৷ সেই সময় অনেকেই ‘গেরুয়া’র নেপথ্যে রাজনৈতিক অভিসন্ধি খুঁজেছিলেন। অনেকেই বলেছিলেন, গেরুয়া-র জয়ধ্বনিতে শাসক দলকে বার্তা দিতে চেয়েছিলেন অরিজিৎ সিং৷ এর পর যখন বলিউড তারকার কলকাতার কনসার্টের ভেন্যু নিয়ে ডামাডোল শুরু হয়, তখনও নানা মন্তব্য শোনা গিয়েছিল৷ সেই অরিজিৎ সিং-এর সঙ্গেই একান্তে সময় কাটালেন মনোজ তিওয়ারি৷ ক্রিকেট সত্ত্বার পাশাপাশি যাঁর আরও একটি পরিচয় আছে৷ তিনি রাজ্যের ক্রিড়া প্রতিমন্ত্রী৷ নদীর পাড়ে অরিজিতের পাশে বসে আড্ডা দিলেন মনোজ৷ তুললেন ছবি৷ যে ছবি নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তিনি৷

আরও পড়ুন- ‘অঙ্কুর’ নিয়ে ঝড়! আপাতত স্থগিত সিভিক ভলান্টিয়ারদের প্রাথমিক স্কুলে পড়ানোর সিদ্ধান্ত

অরিজিৎ বলিউডের পয়লা নম্বর গায়ক৷ কর্মসূত্রে তাঁর অধিকাংশ সময়ই কাটে মুম্বইয়ে৷ তবে তিনি কোনও ভাবেই ভুলে যাননি তাঁর বাঙালি সত্ত্বাকে৷ বৃহস্পতিবার মনোজ তিওয়ারের সঙ্গে অরিজিতের একটি ছবি সোশ্যীল মিডিয়া ভাইরাল হয়ে যায়৷এর পর থেকেই প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন গায়ক? কারণ, মনোজ শুধু ক্রিকেটার নন, তিনি তৃণমূলের মন্ত্রীও৷ জিয়াগঞ্জের গঙ্গাপাড়ে দুই তারকার মোলাকাতের কারণ নিয়ে খুব স্বাভাবিক ভাবেই বাড়ছে উদ্বেগ৷ 


মনোজ অবশ্য এই ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, জিয়াগঞ্জে এই জায়গাটাই অরিজিতের সবচেয়ে প্রিয়৷ সেইসঙ্গে জানান, গায়কের সারল্যে তিনি মুগ্ধ৷ মনোজের কথায়, ‘ওর চরিত্র, ওর ব্যবহার, ওর আদব-কায়দা, সবেতেই সারল্য। এটাই অরিজিৎ। ছবিটা এমন জায়গায় তোলা যা ওঁর খুব পছন্দের।’  সাফল্য তাঁর পা ছুঁয়েছে৷ কিন্তু বদলাতে পারেনি ব্যক্তি অরিজিৎকে৷ তিনি বরাবরই বলে এসেছে, যেমন ছিলাম, তেমনই আছি, তেমনটাই থাকব। প্রিয় জিয়াগঞ্জে প্রিয়জনদের পাশে নিয়েই সাধারণ জীবন তাঁর। এতেই তাঁর স্বচ্ছন্দ৷  অরিজিৎ এখন জিয়াগঞ্জেই আছেন। দোলের সময় তাঁর একটি ছবি ভাইরাল হয়েছিল। স্কুটির পিছনে এক বন্ধুকে বসিয়ে রং মেখে জিয়াগঞ্জের অলিগলি ঘুরছিলেন গায়ক। ঠিক যেন পাড়ার সাধারণ এক ছেলে! এবার অরিজিতের সঙ্গে মনোজের ছবি নেটপাড়ায় ভাইরাল।          

জিয়াগঞ্জের রাস্তায় হামেশাই দেখা যায় তাঁকে। ছেলেদের স্কুটিতে চাপিয়ে স্কুলে যান তিনি। আম আদমির মতো বাজার করেন। জিয়াগঞ্জে একটি হোটেলও খুলেছেন তিনি। যেখানে সস্তায় খাবার খেতে পারেন সাধারণ মানুষ। জিয়াগঞ্জের মানুষের কাছে তিনি ঘরের ছেলে। যাঁকে কোনও নিরাপত্তারক্ষী ঘিরে থাকে না৷ নেই কোনও বড় গাড়ির আতিশয্য।

 
 

Around The Web

Trending News

You May like