কলকাতা: আর্থিক বকসপ মামলার অবশ্যই গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ কেডি সিং। ২৩৯ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে অ্যালকেমিস্ট গ্রুপের কর্ণধারের বিরুদ্ধে। এই গ্রেফতারি ইস্যুতে ইতিমধ্যেই সরগরম বঙ্গ রাজনৈতিক মহল। এই ব্যাপারে মুখ খুলে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি দুই দলকেই আক্রমণ করল বাম এবং কংগ্রেস। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে সুজন চক্রবর্তী এবং আব্দুল মান্নান নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানান, একই সঙ্গে দুর্নীতি প্রসঙ্গে বিজেপি এবং তৃণমূলকে একহাত নেন তারা।
এদিন মান্নান বলেন, এইরকম কেডি সিং দুই দলে হাজার হাজার রয়েছে। এখনো কিছু জন তৃণমূল কংগ্রেসে আছে, কিছু কেডি সিংয়ের মতো নেতা দল ত্যাগ করে চলে গেছে বিজেপিতে। এই প্রসঙ্গে মান্নান সরাসরি অভিযোগ করে বলেন, এটা বিজেপি এবং তৃণমূল গড়াপেটা খেলা। এটা সম্পূর্ণভাবে একটা নাটক। সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য এই ধরনের নাটক আরো বেশি হবে বলে দাবি করেছেন তিনি। এই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে বিক্ষোভ এবং রাগ বাড়ছে। তাদের রোষানলে পড়ে দুটো দলই শেষ হয়ে যাবে। অন্যদিকে এই গ্রেফতারির বিষয় বামফ্রন্ট নেতা সুজন চক্রবর্তী মন্তব্য করেন, এই গ্রেফতারি হওয়া উচিত ছিল বহু আগে। দেরি করতে করতে এখন অবশেষে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। প্রতারিত মানুষগুলোর টাকা ফেরতের বন্দোবস্ত কি হয়েছে, এদিন এই প্রশ্ন তোলেন সুজন। একইসঙ্গে বলেন, লোক দেখানো কাজ যেন না হয় এই দেখার অপেক্ষায় থাকবেন তাঁরা। সুজনের কথায়, তৃণমূল কংগ্রেস এখন বলছে কেডি সিং তাদের লোক নয়, বিজেপিতে ছিলেন পরে তৃণমূলে এসেছেন। এদিকে নির্বাচনী প্রচারে একাধিকবার কেডি সিংয়ের হেলিকপ্টার এবং প্লেন ব্যবহার করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে, এই ব্যাপারে সকলের কাছে তথ্য রয়েছে বলে দাবি করেন সুজন। তিনি এও জানতে চান, কেডি সিংয়ের বিমানের তৃণমূলের কারা কারা ভ্রমণ করেছেন সেই তালিকা প্রকাশ করা হোক। এই ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি তোপ দেখেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, অ্যালকেমিস্ট গ্রুপের নামে বাজার থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে তৃণমূলের এই প্রভাবশালী প্রাক্তন সাংসদের বিরুদ্ধে৷ রয়েছে বিদেশে টাকা পাচারের মতো অভিযোগ৷ অ্যালকেমিস্ট গ্রুপের বাজার থেকে বেআইনি ভাবে টাকা তোলার অভিযোগে দিল্লি থেকে কেডি সিংকে গ্রেফতার করেছে ইডি৷ সূত্রে খবর, আর্থিক তছরুপ মামলায় তৃণমূল নেতাকে গতকাল থেকে জেরা করা হলেও তিনি সহযোগিতা করছিলে না বলে অভিযোগ৷ এড়িয়ে যাচ্ছিলেন প্রশ্ন৷ ফলে, তাঁকে গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইছে ইডি৷ সূত্রের খবর, ১৫০ কোটি টাকার কোনও সন্ধান দিতে পারেননি তৃণমূলের এই প্রভাবশালী প্রাক্তন সাংসদ৷