পাগড়িকাণ্ড: বলবিন্দর-স্ত্রীকে সালওয়ার উপহার মুখ্যমন্ত্রীর, মুক্তির আশ্বাস!

পাগড়িকাণ্ড: বলবিন্দর-স্ত্রীকে সালওয়ার উপহার মুখ্যমন্ত্রীর, মুক্তির আশ্বাস!

 

কলকাতা: দীর্ঘ বিতর্কের পর এবশেষে মুক্তি পেতে চেলেছেন বিজেপির ‘‌নবান্ন চলো’‌ অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র–সহ ধৃত প্রাক্তন সেনা জওয়ান বলবিন্দর সিং৷ শিখ গুরুদোয়ারা ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি তথা আকালি দলের মুখপাত্র মনজিন্দর সিং টুইট করে এই ঘোষণা করেছেন৷

অবিলম্বে বলবিন্দর সিংকে মুক্তি দিতে হবে৷ না হলে নবান্নের সামনে অনশনে বসার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিলেন বলবিন্দর-স্ত্রী করমজিৎ৷ প্রাক্তন সেনাকর্মীর গ্রেফতারি নিয়ে রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই সবর হয়েছিলেন খোদ রাজ্যপাল৷ বিজেপির ‘‌নবান্ন চলো’‌ অভিযানে বলবিন্দরের পাগড়ি বিড়ম্বনা ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের বিতর্ক কলকাতা থেকে ছড়িয়ে পড়েছিল পাঞ্জাবে৷ রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সবর হয়েছিলেন শিখদের বড় অংশ৷ খোদ হরভজন সিং করেছিলেন প্রতিবাদ৷ বলবিন্দরের পাশে দাঁড়িয়েছিল শিখ গুরুদোয়ারা ম্যানেজমেন্ট কমিটি৷ বলবিন্দরের স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে কলকাতায় ছুটে এসেছিলেন শিখ গুরুদোয়ারা ম্যানেজমেন্ট কমিটির নেতারা৷ স্বামীর মুক্তির দাবিতে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বলবিন্দর-স্ত্রী৷

 

গতকাল সাংবাদিক বৈঠক করে বলবিন্দর-স্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, শনিবারের মধ্যে স্বামী বলবিন্দরকে মুক্তি দেওয়া না হলে ছেলেকে নিয়ে নবান্নের সামনে অনশনে বসবেন তিনি৷ এই ঘোষণার পর শুক্রবার রাজ্য পুলিশের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কমিটির নেতারা৷ বলবিন্দরকে মুক্তির আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে দাবি মনজিন্দর সিংয়ের৷

গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে মনজিন্দর সিং টুইটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর, রাজ্য পুলিশের ডিজিকে ধন্যবাদ জানান৷ টুইটে আরও জানানো হয়েছে, দুর্গাপুজো উপক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলবিন্দর-স্ত্রী করমজিৎ কউরকে সালওয়ার সুটই উপহার পাঠাচ্ছেন৷ পাগড়িকাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রীর এই ভালবাসায় গভীর আপ্লুত শিখ গুরুদোয়ারা ম্যানেজমেন্ট কমিটি৷

বিজেপির নবান্ন অভিযানে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে খুলে গিয়েছিল বলবিন্দর সিং নামে এক ব্যক্তির পাগড়ি৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় রাজনৈতিক টানাপোড়েন৷ বলবিন্দরের সমর্থনে সরব হন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর৷ তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন তিনি৷ বুধবার বলবিন্দর সিংয়ের স্ত্রী এবং পুত্র কলকাতা এসে পৌঁছন৷ বিমান বন্দর থেকে সোজা হাওড়া যান তাঁরা৷ সেখানে বলবিন্দরের সঙ্গে দেখা করার পর পৌঁছন রাজভবনে৷ রাজ্যপালের কাছে সুবিচারের আর্জি জানান তাঁরা৷

বিজেপি’র মিছিলে বলবিন্দরের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ৷ তাঁকে ‘আতঙ্কবাদী’ বলে চিহ্নিত করা হয়৷ যদিও তিনি বিজেপি নেতার নিরাপত্তা কর্মী বলে দাবি৷ এদিন বলবিন্দর সিংয়ের স্ত্রী ও পুত্র রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার পরই টুইট করে তিনি বলেন, ‘‘প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বলবিন্দরের স্ত্রী কমলজিৎ কৌর এবং তাঁর পুত্র হর্ষবীর আমার সঙ্গে দেখা করে সুবিচার চেয়েছেন৷ এটা আমার জন্য খুবই কঠিন এক মুহূর্ত৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine − 2 =