ত্রিপুরায় তৃণমূলের শক্তি বৃদ্ধির মাঝেই BJP-কে বিঁধতে রাজ্যে আসছেন মানিক সরকার

ত্রিপুরায় তৃণমূলের শক্তি বৃদ্ধির মাঝেই BJP-কে বিঁধতে রাজ্যে আসছেন মানিক সরকার

কলকাতা:  বিজেপি’র উপর চাপ বাড়াতে এবার বাংলায় আসছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার৷ কী ভাবে বিজেপি ছাত্র-যুব সমাজকে বিপথে চালিত করছে, চোখে আঙুল দিয়ে তা দেখাতে আসছেন তিনি৷ ২ অক্টোবর সিপিএম-এর যুব সংগঠনের রাজ্য সম্মেলন হবে৷ ওই দিন ডিওয়াইএফআই-এর প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত থাকবেন মানিক সরকার৷ উল্লেখ্য, ভবানীপুরের উপনির্বাচনের পরেই রাজ্যে আসছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী৷ 

আরও পড়ুন- ‘বেকারত্ব ঘরে ঘরে, পিসিমণি হারবে ভবানীপুরে’, নয়া স্লোগানে মমতাকে খোঁচা শুভেন্দুর

এদিকে, বঙ্গ বিধানসভা ভোটে বিজেপি বিরোধিতায় যে খামতি ছিল, তা এক প্রকার শিকার করে নিয়েছে বেমেরা। এখন তাঁদের লক্ষ্য জাতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধিতা করা৷ সেই লক্ষ্যে এখন থেকে ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে বামেরা৷ তবে জাতীয় স্তরে নিজেদের ঝাঁঝ বাড়তে ভরসা সেই মানিক সরকার৷ রায়গঞ্জে ডিওয়াইএফআই-এর সভা থেকে বিজেপি’কে খোলা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবেন তিনি৷ ওই সভায় উপস্থিত থাকবেন বাম নেতা মহম্মদ সেলিম এবং যুব নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়৷ 

তৃণমূলের পাখির চোখ এখন ত্রিপুরা৷ সে রাজ্যে সিপিএম-এর প্রতি সুর নরম রেখেছে ঘাসফুল শিবির৷ কিন্তু বঙ্গে তাঁরা কট্টর বিরোধী৷ এর আগে বিমান বসু বলেছিলেন, জাতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধিতায় যে কোনও দলের সঙ্গে হাত মেলাতে তারা প্রস্তুত৷ যদিও তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতার কথা অস্বীকার করেন সুজন চক্রবর্তী৷ এবার মানিক সরকার রাজ্যে এসে তৃণমূল নিয়ে কী অবস্থান নেন, সেটাই দেখার৷ কারণ তিনি যে বিজেপি বিরোধিতায় সামিল তা স্পষ্ট৷ কিন্তু তৃণমূলের প্রতি তাঁর অবস্থান নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে৷ 

আরও পড়ুন- ঘাসফুলের আঁচে পুড়ে ছাই গৌড়হণ্ডের পদ্মফুল, দলীয় প্রধানকে অপসারণ বিজেপি সদস্যদের

বিধানসভা ভোটের আগে ঘুরিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে জোটের বার্তা দিয়েছিলেন মানিক সরকার৷ তবে এর পর ত্রিপুরা রাজনীতির মোড় অনেক বদলেছে৷ সে রাজ্যে বামেদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে তৃণমূল৷ সেই প্রেক্ষিতে মানিক সরকারের তৃণমূলের প্রতি অবস্থান নিশ্চিত ভাবেই তাৎপর্যপূর্ণ৷  
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × 3 =