manik bhattacharya
কলকাতা: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির দায় নিজের কাঁধ থেকে ঝেড়ে ফেলতে উদ্যত মানিক ভট্টাচার্য। এদিন আদালতে বিধায়কের জামিন চেয়ে তাঁর আইনজীবী বললেন, ‘‘দুর্নীতি যে পর্ষদেই হয়েছে তার কোনও প্রমাণ আছে কী? জেলাতে জেলাতেও প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ রয়েছে৷ তারাও তো অনিয়ম করতে পারে! তাঁর মক্কেলের নাম করে কেউ টাকা নিয়েছে মানেই কি তিনি অপরাধী?’’ মানিকের আইনজীবী আরও বলেন, পর্ষদের তরফ থেকে যে তালিকা পাঠানো হত তা থেকে হয়তো সবাইকে নিয়োগপত্র দেয়নি সংসদ। তার জায়গায় অন্য কাউকেও নিয়োগ দিয়ে থাকতে পারে। এদিন মানিকের আইনজীবীর এই যুক্তি শোনার পর কলকাতা হাই কোর্ট পাল্টা প্রশ্ন করে ইডিকে৷
বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, পর্ষদ অনুমতি না দিলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ নিয়োগ করবে কী ভাবে? মানিকের আইনজীবী বলেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ যদি কোনও বেআইনি কাজ করে থাকে তা হলে তার দায় পর্ষদের উপরে কেন বর্তাবে? এর পরেই ইডি-র উদ্দেশে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, তদন্তে অগ্রগতি প্রয়োজন, তদন্তে কোনও অগ্রগতি না হলে অনন্তকালের জন্য কাউকে জেলে আটকে রাখা যায় না৷