কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের জামিন হল না বৃহস্পতিবারও। এদিনও তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। মানিক ভট্টাচার্যকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে ইডির বিশেষ আদালত। অর্থাৎ আগামী ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি থাকবেন প্রেসিডেন্সি জেলেই।
আরও পড়ুন- জেলে দু’মাসে ৯ কিলো ওজন কমল অনুব্রতর! কমে কত হল?
তবে মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবী এদিন ফের ইডির বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে সরব হন। তাঁর অভিযোগ, সিবিআই চার্জশিট বা এফআইআর-এ তাঁর মক্কেলের নাম নেই। তাও ইডি একটু বেশি তৎপরতা দেখাচ্ছে। এদিন অবশ্য ইডির তরফ থেকে মানিক সম্পর্কে বিস্ফোরক দাবি করা হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, বিভিন্ন মনীষীদের নামে যে যে ডিএলএড কলেজ রয়েছে সেই কলেজ থেকে অফলাইনে ভর্তির জন্য ৫ হাজার করে টাকা নেওয়া হয়েছে। মানিকের জামাই ও ভাইয়ের অ্যাকাউন্টে ছাড়াও আরও অনেকের অ্যাকাউন্টেও টাকা জমা পড়েছে বলে দাবি।
এর আগে আরও বড় দাবি করা হয়েছিল যে, মানিকের স্ত্রীর সঙ্গে মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তির জয়েন্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে৷ সেই ব্যক্তি ছয় বছর আগেই মারা গিয়েছেন। কেন মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তীর সঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট করা হয়েছিল, তা জানার জন্য তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলেও আদালতকে জানানো হয় ইডির তরফে। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তীর সঙ্গে তিন কোটি টাকার জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে রয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রীর৷ এছাড়াও মানিকের একাধিক আত্মীয়ের নামেও কোটি কোটি টাকার হদিশ মিলেছে৷