মঞ্চে দাঁড়িয়ে খেলেন চা, মুখে পুড়লেন খৈনি, মনোরঞ্জনের কীর্তিকে সমালোচনার ঝড়

মঞ্চে দাঁড়িয়ে খেলেন চা, মুখে পুড়লেন খৈনি, মনোরঞ্জনের কীর্তিকে সমালোচনার ঝড়

কলকাতা: অত্যন্ত সাদামাটা বেশভূষা৷ জীবনযাত্রাও অতি সাধারণ৷ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করা মনোরঞ্জন ব্যাপারী পরিচিত জনদরদি হিসাবেই৷ দিন কয়েক আগে তাঁর একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে হইচই বেঁধেছিল৷ এবার খবরে উঠে এলেন মঞ্চের উপর খৈনি খেয়ে! হ্যাঁ, ঠিক এমনটাই করলেন বলাগড়ের বিধায়ক৷ যা থেকে সভায় উঠল হাসির রোল৷ 

আরও পড়ুন- পুলিশকর্তার মেয়ের নামে আপত্তিকর পোস্ট, অবশেষে তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে মামলা!

পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ১০ ও ১১ জুলাই দু’দিন ব্যাপী বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে তৃণমূল৷ রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ৷ এদিন মোদী সরকারের বিরুদ্ধে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতেই আক্রমণ শানাচ্ছিলেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী৷ আচমকা বক্তব্য থামিয়ে মঞ্চে দাঁড়িয়ে থাকা এক দলীয় কর্মীর কাছে খৈনি চান তিনি৷ তার পর সভায় দাঁড়িয়েই খৈনি ডলে তা মুখে পুড়ে দেন৷ যা দেখে সভায় উপস্থিত মানুষ তো হেসে লুটোপুটি৷ আর মুহূর্তে ভাইরাল মনোরঞ্জনবাবুর খৈনি খাওয়ার দৃশ্য৷ সেই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে কী ভাবে প্রকাশ্য সভায় খৈনি খেলেন বিধায়ক? শুধু তাই নয়, শনিবার সভা চলার মাঝে একবার চাও খান মনোরঞ্জনবাবু৷ আর তার পরেই চান খৈনি৷ 

এর পর নিজেই মনোরঞ্জনবাবু বলেন, খানি খাওয়া দেখে হাসবেন না৷ এই খৈনি একদিন আমার জীবন বাঁচিয়েছিল৷ কী ভাবে? সেই গল্পও বলেন বলাগড়ের বিধায়ক৷ তিনি জানান, ‘‘এক সময় রাজা এসি মল্লিক রোডে এক ব্যক্তি জুতো সেলাই করতেন৷ তিনি খৈনি খেতেন৷ শোলে সিনেমা দেখে তখন খৈনি খাওয়ার চল৷ তাঁর কাছ থেকেই খৈনি চেয়ে নিতাম৷ তিনি আমাদের খৈনি বানিয়ে দিতেন৷ একদিন দাঁড়িয়ে খৈনি মুলছিলাম, তখন উল্টোদিকে রাস্তার ওপাড় থেকে একজন বললেন মনা একটু খৈনি দিয়ে যা৷ উল্টোদিকের রাস্তায় ছিল রাজলক্ষ্মী মিষ্টির দোকান৷ আমি তাঁকে খৈনি দিতে রাস্তা পাড় হলাম৷ ঠিক তার পরেই গড়িয়ার দিক থেকে আসা একটি ডবল ডেকার বাস সেখানে থাকা এক পানের দোকানের মালিক, তাঁর ছেলে সহ আরও তিনজনকে পিষে দিল৷ আমি বেঁচে গিয়েছিলাম হাতে খৈনি হাতে ছিল বলে৷ তাই কেউ খৈনিকে ছোট করবেন না৷’’  

আরও পড়ুন- করোনাকালে বাড়ল মাদার ডেয়ারি দুধের দাম, রাত পোহালেই কার্যকর নয়া দর

প্রসঙ্গত, মনোরঞ্জনবাবু নিজেও এক সময় রিক্সা চালাতেন৷ পেটের দায়ে করেছেন রান্নার কাজ৷ পড়ে তিনি সাহিত্য জগতে আসেন৷ ভোটের আগে মনোনয়ন জনা দিতে গিয়েছিলেন রিক্সা চালিয়ে৷ বিধায়ক হওয়ার পর একটা টোটো কিনেছেন৷ সেই টোটো নিয়ে ঘুরে বেড়ান এলাকায়৷ খোঁজ নেন মানুষের৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 1 =