বাইকে প্রেম, বাইক চড়েই বিয়ে! আছে আরও চমক, অভিনব বিয়ে দেখল ক্যানিং

বাইকে প্রেম, বাইক চড়েই বিয়ে! আছে আরও চমক, অভিনব বিয়ে দেখল ক্যানিং

ক্যানিং: স্কুল জীবন থেকে তাঁদের পরিচয়৷ সেখান থেকেই একটু একটু করে ভালোলাগা আর তারপর ভালোবাসার সূত্রপাত৷ দীর্ঘ প্রেম পর্ব কাটিয়ে আসে একে অপরের বাহুডোরে বাঁধা পড়ার পালা৷ শুরু হয় বিয়ের তোড়জোড়৷ কিন্তু আর পাঁচটা বিয়ের মতো সানাই-এর সুর চাননি ক্যানিংয়ের মমতা পল্লীর যুবক বিশ্বজিত সরকার৷ চেয়েছিল তাঁর বিয়েতে চমক থাকুক৷ যেমন ভাবা, তেমনই কাজ৷ সকলকে চমকে দিয়ে তিনি চললেন বাইক নিয়ে বিয়ে করতে৷ বাঁধলেন গাঁটছড়া৷ 

আরও পড়ুন- পার্শ্ব শিক্ষকদের প্রাথমিকের শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ নয়, নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের

এক সময় বাইকে চড়েই প্রেমপর্ব চলত তাঁদের৷ সেই বাইককে সঙ্গী করেই জীবন সঙ্গিনীকে আনতে গেলেন বিশ্বজিৎ৷ বাইকটিকে ফুল দিয়ে সাজিয়ে তাতে চড়ে রওনা দিলেন তিনি। শুধউ তাই ন, বিয়ের পর নববধূকে বাইকের পিছনে বসিয়ে বাড়িতেও ফিরলেন তিনি৷ 

এদিকে, বাইকে সওয়ার বরকে দেখতে রাস্তার দু’ধারে জড়ো হয়েছিলেন প্রচুর মানুষ। এহেন অভিনব বিয়ের সাক্ষী থাকতে মোবাইলে ছবিও তুলে নেন কেউ কেউ। ক্যানিংয়ের মাতলা ২ পঞ্চায়েতের মমতা পল্লীর বাসিন্দা অক্ষয় সরকার ও কানন সরকারের একমাত্র সন্তান বিশ্বজিৎ। ছোট থেকেই লেখাপড়ায় মেধাবী তিনি। বিশ্বজিৎ যখন স্কুল পড়ুয়া তখনই ক্যানিংয়ের পুরাতন খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকার পৌলমী বেরার সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর৷ সেখান থেকেই শুরু হয় তাঁদের প্রেমের অধ্যায়৷ 

বাইকে চড়ে চুটিয়ে প্রমপর্ব চলার পাশাপাশি সফল ভাবেই স্নাতক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তাঁরা। এরপর দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে ঠিক হয় পৌলমী ও বিশ্বজিতের। বিয়ের কয়েকদিন আগেই বিশ্বজিৎ তার বন্ধুদের সঙ্গে গাড়ি ভাড়া করার জন্য কথা বলেন। সেই সময় তার এক কাছের বন্ধুর পরামর্শে নতুন কিছু করতে উদ্যোগী হন হবু বর। কারণ বিয়ে তো বারবার হবে না। জীবনে একবারই হবে। আর তা যেন যাতে মনে রাখার মতো হয়৷ সেই চিন্তা থেকেই বাইক সওয়ার হয়ে বিয়ে করতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বর৷  তাঁর এই সিদ্ধান্তে সম্মতি জানায় গোটা পরিবার৷ 

এর পর ফুল দিয়ে সাজানো হয় বুলেট বাইক। কোর্ট প্যান্ট পরে গলায় বিয়ের মালা পরে বাইক চালিয়ে কনের বাড়ির পথে রওনা দেন বিশ্বজিৎ। তবে চমকের এখানেই শেষ নয়৷ রয়েছে আরও একটি টুইস্ট৷ বাঙালি রীতি মেনে ছাদনাতলায় নয়, বর-বধূ হাজির হন ক্যানিয়ের স্থানীয় গির্জায়৷ উলু ধ্বনি, শঙ্খ ধ্বনিতে সাতপাকে বাঁধা নয়, বরং খ্রিষ্টীয় মতে একে অপরকে আই ডু বললেন এই যুগল৷ তবে বিয়ের দিন বাঙালি বধুর সাজেই সেজেছিলেন পৌলমী। গির্জায় যীশুকে সাক্ষী করে বিয়ে সারেন তাঁরা৷ তার পর সেই বাইকে চেপেই পৌলমী আসেন শ্বশুর বাড়িতে৷