কালো বলে স্ত্রীকে খুন! পাষণ্ড স্বামীকে দোষী সাব্যস্ত করল হাইকোর্ট

বর্ণবৈষম্য নিয়ে জল্পনা ইদানীং খুব বেড়েছে। বিশেষত কিছুদিন আগে মার্কিন মুলুকের ঘটনায় সারা বিশ্বে তোলপাড় পড়েছিল। ১৫ বছর আগে এই রাজ্যের কোচবিহারের একটি ঘটনায় বর্ণবৈষম্যের কারণেই স্ত্রীকে খুন করেছিল তাঁর স্বামী। তখন নিম্ন আদালত খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্তও করে মৃত তরুণীর স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে। আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছিল অভিযুক্তরা। কিন্তু তাতেও বিশেষ কিছু লাভ হয়নি। আদালত শাশুড়িকে নির্দোষ সাব্যস্ত করলেও শ্রীঘরে ঠাঁই হয়েছে প্রধান অভিযুক্ত স্বামীর।

 

কোচবিহার: বর্ণবৈষম্য নিয়ে জল্পনা ইদানীং খুব বেড়েছে। বিশেষত কিছুদিন আগে মার্কিন মুলুকের ঘটনায় সারা বিশ্বে তোলপাড় পড়েছিল। ১৫ বছর আগে এই রাজ্যের কোচবিহারের একটি ঘটনায় বর্ণবৈষম্যের কারণেই স্ত্রীকে খুন করেছিল তাঁর স্বামী। তখন নিম্ন আদালত খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্তও করে মৃত তরুণীর স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে। আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছিল অভিযুক্তরা। কিন্তু তাতেও বিশেষ কিছু লাভ হয়নি। আদালত শাশুড়িকে নির্দোষ সাব্যস্ত করলেও শ্রীঘরে ঠাঁই হয়েছে প্রধান অভিযুক্ত স্বামীর।

২০১৬ সালে নিম্ন আদালতের রায় অনুযায়ী দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল কোচবিহারের মাজিদুল, তার বাবা হাসারুদ্দিন মিঞা এবং মায়ের। তাদের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল। তার জেরেই খুন করা হয় মাজিদুলের স্ত্রীকে। গায়ের রং কালো বলেই বিয়ের মাত্র ৭ মাসের মধ্যে খুন হতে হয়েছিল তরুণীকে। তবে ১৫ বছর আগের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তারা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শহিদুল্লা মুনসি ও বিচারপতি শুভাশিস দাশগুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চ মাজিদুলের ক্ষেত্রে সেই শাস্তিই বহাল রেখেছে। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, গায়ের রং কালো হওয়ায় অত্যাচারের ঘটনা নিশ্চিতভাবে বধূ নির্যাতন।

এছাড়া পুরো ঘটনাকে খুন বলে দাবি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তার মাকে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ঘটনার পর মাজিদুলের মা ওই মৃত তরুণীর দেহ কোলে নিয়ে কেঁদেছিলেন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে দোষীর বাবা হাসারুদ্দিনের।

দেখাশোনা করেই বিয়ে ঠিক হয়েছিল তরুণীর। বিয়ের পর থেকেই তাঁর ওপর অত্যাচারের অভিযোগ ওঠে। তবে আপোসে সমস্যা মেটানোর পরামর্শ দেন তরুণীর মা বাবা। কিন্তু ক্রমেই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। এরপরই খুনের ঘটনা ঘটে। যদিও শ্বশুরবাড়ির তরফে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হয়। তবে সেই সংক্রান্ত কোনও প্রমাণ মেলেনি বলেই সূত্রের খবর। সংবাদসূত্রে আরও জানা গেছে, অটোপসি রিপোর্ট অনুসারে টেপ রেকর্ডার বা টেলিফোনের তার গলায় পেঁচিয়ে ধরলে যেমন জমাট রক্তের দাগ লক্ষ্য করা যায়, তেমন নমুনা পাওয়া গেছে তরুণীর শরীরে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 4 =