RG Kar: স্যালাইন-ইঞ্জেকশন দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সব শেষ! স্ত্রীর মৃত্যুতে হতবাক স্বামী

RG Kar: স্যালাইন-ইঞ্জেকশন দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সব শেষ! স্ত্রীর মৃত্যুতে হতবাক স্বামী

কলকাতা: পেটে ব্যথা হচ্ছিল স্ত্রীর। আগে গলব্লাডারের চিকিৎসা হয়েছিল, সেই মতো ওষুধ খেয়েছিলেন। কিন্তু সমস্যা মেটেনি। দুপুরের দিকে ব্যথা বাড়ায় স্বামী বিশ্বজিৎ দাসের সঙ্গে আর জি কর হাসপাতালে আসেন দমদম বীরপাড়ার বাসিন্দা মালা দাস। কিন্তু অভিযোগ, সেখানে আসার কিছু সময় পরেই মৃত্যু হয় তাঁর! এই ঘটনায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন বিশ্বজিৎ। কী ভাবে কী হল কিছুই বুঝে উঠতে পারেননি তিনি। স্বাভাবিকভাবেই চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে এখন বিচার চাইছেন হতভাগ্য ব্যক্তি।

আরও পড়ুন- প্রকাশিত রাজ্য জয়েন্টের ফল, প্রথম ও দ্বিতীয় দু’জনেই হিমাংশু শেখর, পাঁচে নেই WBCHSE-র কেউ

বিশ্বজিৎ জানিয়েছেন, রিকশা, অটো করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন স্ত্রীকে। ততক্ষণ পর্যন্ত সবই ঠিক ছিল। আর জি করে পৌঁছনোর পর জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসকরা তাঁকে ট্রমা কেয়ারে পাঠিয়ে দেন। সেখানে তাঁর স্ত্রীর হাতে স্যালাইন দিয়ে কয়েকটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। এরপরেই আচমকা তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। বিশ্বজিতের কথায়, তাঁর স্ত্রী হঠাৎ বলতে শুরু করেন যে তাঁর শীত করছে। এই সময় একজন সিনিয়র ডাক্তার এসে রক্তচাপ, অক্সিজেনের মাত্রা মাপা কিংবা ইসিজি হয়েছে কি না তা জানতে চান। কোনও উত্তর না পাওয়ায় রোগীকে ফের জরুরি বিভাগে পাঠানো হয়। এরপর কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিশ্বজিতকে জানান হয় যে তাঁর স্ত্রী মারা গিয়েছেন।

এই কথা শুনে মুহূর্তের জন্য স্তম্ভিত হয়ে যান বিশ্বজিৎ। কী ভাবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এমন হল, কীসের কারণে হল তা তিনি বুঝতেই পারেননি। তাঁর অভিযোগ, হাসপাতালে যাওয়ার পরে তাঁর স্ত্রীর রক্তচাপ বা অক্সিজেনের মাত্রা মাপা হয়নি। গলব্লাডারের চিকিৎসার পুরনো কাগজ দেখে স্যালাইন ও কয়েকটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। এখানেই সবথেকে বড় প্রশ্ন উঠছে। কেন কোনও পরীক্ষা না করেই তাঁকে ওষুধ দেওয়া হল? আর কী ওষুধ দেওয়া হল সেটাও পরিষ্কার হচ্ছে না। আপাতত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চার সদস্যের কমিটি গড়ে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে প্রশ্ন থাকছেই, এই মৃত্যু দায় কি হাসপাতাল এড়িয়ে যেতে পারে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × 1 =