কলকাতা: একুশের ভোটে বাংলাকে পাখির চোখ করে ভোট ময়দানে ঝাঁপিয়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। বারবার ভোটের প্রচারে বাংলায় ছুটে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহরা। ঠিক সেই সময়েই ‘বহিরাগত’ তত্ত্ব খুঁচিয়ে তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূল নেতৃত্ব৷ তাঁদের বক্তব্য ছিল বাইরে থেকে এসে বাঙালির আবেগ বোঝা বিজেপি নেতাদের পক্ষে সম্ভব নয়৷ তণমূলের বক্তব্য ছিল, বিজেপি নেতারা বাংলার সংস্কৃতি বোঝে না৷ ভোটে জেতার জন্যেই বহিরাগত তত্ত্ব উস্কে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সবটাই ছিল ভোটে জেতার কৌশল৷ এমনটাই দাবি করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷
আরও পড়ুন- রাজ্যকে না জানিয়ে জল ছেড়েছে DVC! প্লাবিত এলাকায় গিয়ে তোপ মমতার
তোপ দেগে সুকান্ত বলেন, “বাংলায় যাঁরা ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বে রয়েছে, তাঁরা সকলেই বাঙালি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই স্ট্র্যাটেজি ছিল ভোটে জেতার কৌশল৷ আমরা বাংলা ও বাঙালিতে বিভেদ করি না। ভারতবর্ষ সবার।” এর পরেই কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “উনিও তো এবার গোয়াতে যাচ্ছেন৷ তাঁর দলও বিস্তার করছে। গোয়া গোয়ানিসের যেমন, তেমনই বাঙালির। আমরা ওঁকে স্বাগত জানাচ্ছি।”
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সদলবলে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরিও৷ তৃণমূলে যোগ দিয়েই তিনি জানিয়েছেন, বিজেপি’কে হঠানোই তাঁর একমাত্র কাজ৷ তাঁকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান তৃণমূলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। এবার কী তাঁরা বহিরাগত হলেন না? তৃণমূলকে খোঁচা রাজ্য বিজেপি সভাপতি’র।
সেই সঙ্গে এদিন দক্ষিণবঙ্গে বন্যার জন্যেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করেন সুকান্ত৷ তাঁর দাবি, রাজ্যে চরম দুর্নীতি হচ্ছে৷ এক হাজার বস্তা ফেলে দাবি করা হচ্ছে ১০ হাজার বালির বস্তা ফেলা হয়েছে৷