কলকাতা: মঙ্গলবার দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক লিখিত বিবৃতিতে জানিয়েছে জানিয়েছিলেন দেশে ৪০জন ভিভিআইপি ‘জেড প্লাস’ নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। ডি এম কে – এর এক সাংসদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রক এই তথ্য জানিয়েছে। বুধবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন যে নন্দীগ্রামে তার উপর হামলা হয়েছে। সূত্রের খবর, তার পরেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে তাকে জেড প্লাস নিরাপত্তা প্রদানের কথা বলা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বিষয়টি নিয়ে চিন্তা ব্যক্ত করেছে।
ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন জেলা প্রশাসনের কাছে সম্পূর্ণ রিপোর্ট চেয়েছে। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের মুখ্য সচিবের সঙ্গে কথা বলেছেন। জেড প্লাস নিরাপত্তা দেওয়ার কথা আলোচনা হয়েছে। জেড প্লাস নিরাপত্তা প্রায় ৫৫ জন নিরাপত্তা রক্ষীর বলয়। এখানে এন এস জি ব্ল্যাক ক্যাট কমান্ডো এবং সি আর পি এফ নিযুক্ত থাকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন কয়েকজন ষড়যন্ত্র করে তাকে ধাক্কা মেরেছে। রাজ্য সরকারের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা তিনি পান। কী করে সেই নিরাপত্তা বলয় ভেঙে কয়েকজন তাকে আঘাত করে পালাল তার সদুত্তর খুঁজে পাচ্ছে না অনেকেই। সিবিআই বা এন আই এ স্তরের তদন্তের দাবি উঠেছে।
এদিকে সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেছেন, “আগে অসংখ্যবার তৃণমূল নেত্রী পালে বাঘ পড়েছে বলে রব তুলেছিলেন। আজকের ঘটনা আবার প্রমাণ করল মমতা ব্যানার্জি আছেন মমতা ব্যানার্জিতেই। আমরা যে কোনো আক্রমণের ঘটনারই নিন্দা করি। কিন্তু উনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, উনি যখন জেলায় যান তখন আশেপাশের পাঁচটা জেলার পুলিশ পরিবেষ্টিত হয়ে থাকেন। তার মধ্যে আক্রমণের ঘটনা ঘটেই বা কি করে! এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া উচিত। অনেকেই মনে করেছিলেন এবারও গুন্ডামি, মস্তানি করে নির্বাচনে জিতবেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত গুন্ডামি, মস্তানি ঘটেনি। এখন হিংসার নাম করে ভাগ করার চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঠিক যেমন হিন্দু-মুসলমানের নামে ভাগ করার চেষ্টা বিজেপি-তৃণমূল দু’পক্ষ মিলেই করে চলেছে। মানুষ এসব ভাগাভাগির চেষ্টা মেনে নেবেন না। তেমনই বিশ্বাস করবেন না মমতা ব্যানার্জির আক্রান্ত হওয়ার কাহিনী।”