পিসির মাথায় রক্ত দেখেই রাজনীতিতে আসে অভিষেক, মোদির কটাক্ষের জবাব দিলেন মমতা

আজ বিকেল: “নেতা তো আকাশ থেকে তৈরি হয় না। আর বাংলার নেতা দিল্লি থেকে তৈরি হয় না। গ্রামগঞ্জ থেকেই তৈরি হয়। ভালো ছেলে মেয়ে এগিয়ে আসুক। আমি পলিটিক্সে ভালো ছেলে মেয়ে প্রমোট করতে চাই। কিন্তু আপনারা যদি এগিয়ে না আসেন তবে কী করে হবে? আপনাদেরও তো এগিয়ে আসতে হবে।” এদিন ঝাড়গ্রামের সভা থেকে এভাবেই জনগণের কাছে

পিসির মাথায় রক্ত দেখেই রাজনীতিতে আসে অভিষেক, মোদির কটাক্ষের জবাব দিলেন মমতা

আজ বিকেল: “নেতা তো আকাশ থেকে তৈরি হয় না। আর বাংলার নেতা দিল্লি থেকে তৈরি হয় না। গ্রামগঞ্জ থেকেই তৈরি হয়। ভালো ছেলে মেয়ে এগিয়ে আসুক। আমি পলিটিক্সে ভালো ছেলে মেয়ে প্রমোট করতে চাই। কিন্তু আপনারা যদি এগিয়ে না আসেন তবে কী করে হবে? আপনাদেরও তো এগিয়ে আসতে হবে।” এদিন ঝাড়গ্রামের সভা থেকে এভাবেই জনগণের কাছে আবেদন রাখলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে ভাইপো অভিষেকের রাজনীতিতে আসার বিষয়টিও উল্লেখ করলেন। ফিরে গেলেন রাজনৈতিক জীবনের পুরনো কথায়।

এদিন তিনি জানান, “যখন ১৯৯০ সালে আমায় মারল। আমার মাথা পুরো ফেটে চৌচির হয়ে গিয়েছিল। আমি হাসপাতালে ছিলাম প্রায় তিন মাস। ও (অভিষেক) আমার রক্তাক্ত অবস্থার ছবি দেখেছিল। তখন ওর দেড় দু’বছর বয়স। আমার হাত, পা, মাথায় ব্যান্ডেজ দেখে ও ভয় পেত। আর একটা পতাকা নিয়ে মিছিল করত, দিদিকে মারলে কেন, জ্যোতি বাবু জবাব চাই, জবাব দাও। ওই করে মিছিল করত। ওই করতে করতে ওর মাথায় একটা ঢুকে গিয়েছিল যে আমি দিদির সঙ্গে থাকব। এটাই ওর পলিটিক্স করার মেন ইনটেনশন অন্য কিছু নয়।” মূলত ভাইপো পিসি টেনে প্রধানমন্ত্রীর কটাক্ষের জবাব এভাবেই দিতে চাইলেন দিদি। এদিন সভামঞ্চ তেকেই তিনি বলেন, “আমি তো বলি, পার্থদার মেয়ে এত টাকা মাইনে নিয়ে কেন বিদেশে ঘোরে, দেশের মাটিতে কাজ করুক। সুব্রত বক্সিকেও বলি, ছেলেকে পলিটিক্সে দাও। পলিটিকাল পরিবারের ছেলেমেয়েরা ভাল রাজনীতিক তৈরি হয়।” এই প্রসঙ্গে শিশির অধিকারীর ছেলে শুভেন্দু অধিকারী, ইন্দিরা গান্ধীর ছেলে রাজীব গান্ধীর রাজনীতি করার উদাহরণও দেন মমতা।

“ইন্দিরা গান্ধী যখন মারা যান সেই সময়ে পাড়া থেকে বের হলে পাড়ার সিপিএম লোকেরা বলত, পাড়া থেকে বেরোচ্ছো বেরোও, ঢুকতে দেব না পাড়ায়। সেই সব হুমকির দিনে আমার যত ভাইবোনেরা আছি বাড়িতে আমরাই মিছিল করতাম। আজকে নয়, আমাদের পরিবারের সকলেই শুরু থেকে পলিটিক্স করে। নেতা হওয়ার জন্য নয়। আমরা শুধু একজনকেই নিয়ে এসেছিলাম কারণ, সেও নিজে চায়নি। আমি বলেছিলাম, তোরা যদি ইয়াং জেনারেশন না আসিস তবে পলিটিক্সটা করবে কে? আমি তো একদিন হারিয়ে যাব। একদিন বড়রা চলে যাবে, ছোটদের তো আসতে হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five + 17 =