মুর্শিদাবাদ: ঈদের দিনে কেন হবে নির্বাচন? এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্ন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের আর বাকি মাত্র তিন দফার ভোট গ্রহণ। আগামী বৃহস্পতিবার ষষ্ঠ দফার ভোট গ্রহণ হবে। এদিকে আবার রাজ্যে দিনকেদিন ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে করোনা সংক্রমণ। কোভিড-১৯’এর গ্রাফ ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী। করোনার থাবা পড়েছে নির্বাচন কমিশনের অন্দরেও। তা নিয়েও এদিন বিজেপি-সহ নির্বাচন কমিশনের তুমুল সমালোচনা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
প্রার্থী মৃত্যুর কারণে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে আপাতত স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে নির্বাচন। ওই দুই কেন্দ্রে আগামী ১৩ মে ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে মঙ্গলবার কমিশনের ওপর যাবতীয় ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুর্শিদাবাদ ও ভগবানগোলার জনসভা থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করে বলেন, “দুজন প্রার্থী মারা যাওয়ায় তাদের কেন্দ্রের ভোটটা আমি শুনেছি আগামী ১৩ তারিখে করে দেওয়া হয়েছে। ১৩ মে আবার ঈদ আছে। আমি জানি না, নির্বাচন কমিশনার ক্যালেন্ডারে মনে হয় ঈদের ছুটিটা দেখতে ভুলে গেছেন কিংবা দেখেননি। কিন্তু আমরা মনে করি পুজোর দিনগুলো আর ঈদের দিনগুলো মাথায় রেখে কাজ করা উচিত। কিন্তু আমি মনে করি, আপনি দুর্গাপুজোর দিনেই ভোট করান আর ঈদের দিনেই ভোট করান, যে ভোট দেওয়ার যেখানে ভোট দেওয়ার সেখানেই দেবে। এইভাবে আপনারা রুখতে পারবেন না।”
রাজ্যে বাড়তে থাকা করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই করোনার শিকার হয়েছেন নির্বাচন কমিশনের একাধিক আধিকারিক। মঙ্গলবার সকালেও এক আধিকারিক কোভিড-১৯’এ আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। এই নিয়ে মঙ্গলবার মমতা বললেন, “করোনা এবারে একটু বেশি হচ্ছে। ১ জনের থেকে ১০০০ জনের হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনারেরও করোনা হয়েছে। আজ সকালে কমিশনের আরও এক সদস্যের করোনা হয়েছে। তারা এখন বাড়িতে থেকে কাজ করবে। আর বাড়ি থেকে কাজ করা মানে তো বুঝতেই পারছেন, সবই তো বিজেপি করে দেয়।”